আপেল সারা বছরই পাওয়া যায়। একটি পুরানো প্রবাদ অনুসারে, প্রতিদিন একটি করে আপেল খেলে ডাক্তার থেকে দূরে থাকা যায়। আপেল স্বাদ এবং পুষ্টির জন্য পরিচিত। বাজারে দুই ধরনের আপেল পাওয়া যায়, লাল এবং সবুজ। কখনও ভেবে দেখেছেন এই দুটির মধ্যে কোনটি স্বাস্থ্যকর? ভারতীয় ডায়েটিশিয়ান শিখা কুমারী দুই আপেলের গুণাগুণ জানিয়েছেন ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’ এর এক প্রতিবেদন।
ডায়েটেশিয়ান শিখা জানান, সবুজ আপেল স্বাদে কিছুটা টক এবং এর খোসা বেশ পুরু। অন্যদিকে, লাল আপেল মিষ্টি, রসালো। এর খোসা বেশ পাতলা। মিষ্টি স্বাদের কারণে সবাই লাল আপেল বেশি পছন্দ করে।
পুষ্টিগুণে পার্থক্য–
দুই ধরনের আপেলের মধ্যে পুষ্টি উপাদানে সামান্য পার্থক্য রয়েছে। সবুজ আপেল লাল আপেলের তুলনায় ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই এবং ভিটামিন কে এর ভালো উৎস। এতে আয়রন, পটাশিয়াম এবং প্রোটিনও রয়েছে। অনেক গবেষণা বলছে,ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সবুজ আপেল বেশি উপকারী।
ডায়েটিশিয়ান শিখা কুমারীর মতে, কেউ যদি খাদ্যতালিকা থেকে সামগ্রিকভাবে চিনির পরিমাণ কমানোর চেষ্টা করেন তাহলে সবুজ আপেল খাওয়া ভালো। অন্যদিকে, লাল আপেলে বেশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ বেশি থাকে।
সবুজ আপেল কি লাল আপেলের চেয়ে স্বাস্থ্যকর?
সবুজ আপেল লাল আপেলের চেয়ে বেশি উপকারী এটা বলা যাবে না। আগেই বলা হয়েছে,স্বাদের কারণে লাল আপেল সবার বেশি পছন্দের। দীর্ঘমেয়াদে, সবুজ এবং লাল আপেল উভয়ই শরীরে একই প্রভাব ফেলবে।
ভারতের আরেক পুষ্টিবিদ এবং খাদ্য প্রশিক্ষক অনুপমা মেনন বলেছেন, লাল-সবুজ দুটি আপেলই পুষ্টিগুণে ভরপুর। এ কারণে বলা যাবে না লাল আপেলের পরিবর্তে সবুজ আপেল বেছে নিতে। তবে সবুজ আপেলে লাল আপেলের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণে ভিটামিন এ থাকে। এর ফলে সবুজ আপেল দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, ব্রণের ঝুঁকি কমাতে এবং হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে উপকারী। তবে লাল আপেল খেলেও কম উপকার হবে না।