গত ১৬ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রায় সাড়ে ৩৫ কোটি ডলার জরিমানা করেছেন দেশটির একজন বিচারক। তবে সুদসহ এই অংক দাঁড়াতে পারে ৪৫ কোটি ডলার। সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট। মামলার রায় প্রত্যাখ্যান করে ২৬ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) আপিলটি করেন তিনি। খবর বিবিসি।
জালিয়াতি করে ঋণদাতার কাছে নিজের সম্পদের মূল্য বাড়িয়ে দেখানোর অভিযোগে ট্রাম্পকে ৩৫ কোটি ৪৯ লাখ ডলার জরিমানা করে নিউইয়র্কের বিচারপতি আর্থার এনগোরন। সুদসহ যার অঙ্ক দাঁড়ায় ৪৫ কোটি ডলার। দেখা যাচ্ছে, জরিমানার চেয়ে এর সুদের হারই বেশি, প্রতিদিন অন্তত ১ লাখ ১২ হাজার ডলার।
রায়ে বলা হয়, নিউ ইয়র্কের কোনও ব্যাংক থেকে আগামী তিন বছর ঋণ নিতে পারবেন না ট্রাম্প। এছাড়া তিনি তার কোম্পানির পরিচালকও থাকতে পারবেন না বলে আদেশ দিয়েছেন বিচারক আর্থার এনগোরন। রাজ্যে তিন বছরের জন্য ব্যবসায় করার ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন তিনি।
রায়ে ট্রাম্পের দুই পুত্র ডোনাল্ড জুনিয়র ও এরিককে আলাদাভাবে ৪০ লাখ ডলার করে জরিমানা করা হয়। তাদেরকেও দুই বছরের জন্য রাজ্যে ব্যবসায় না করার আদেশ দেন বিচারক। বাবার সাথে তারাও রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন।
সোমবার তার আইনজীবী আলিনা হাব্বা বলেন, তারা আশা করছেন আপিল আদালত এই গুরুতর জরিমানা বাতিল করবে এবং নিউইয়র্কের আইনি ব্যবস্থায় জনগণের বিশ্বাস ফেরাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিশিয়া জেমস বলেছেন, জরিমানার অর্থ না দিলে ট্রাম্পের সম্পদ বাজেয়াপ্ত হতে পারে। ওই রায়ের ১০ দিনের মাথায় আপিলটি করলেন ট্রাম্প। রায়কে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার পরিকল্পনা ছিল তার।
আপিল প্রক্রিয়া এক বছর বা তার বেশি সময় ধরে চলতে পারে।