সরকার আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিলেও আন্তর্জাতিক বাজারে যখন দাম নিম্নমুখী তখনো সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। কারণ এই সিন্ডিকেটের মূল পৃষ্ঠপোষক সরকার।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এমন মন্তব্য করেছে দেশের প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপি।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বাজরে সব নিত্যপণ্যের দর অস্বাভাবিক, টালমাটাল। টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, সাধারণ জাতের খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ১১০০ টাকা কেজিতে। এর বাইরে গত বছরের তুলনায় আলুর দাম ১০৮ শতাংশ, রসুন (আমদানি) ৪৩ শতাংশ, আদা (দেশী) ৬০ শতাংশ, পেঁয়াজ (দেশী) ১৮৩.৩৩ শতাংশ, পেঁয়াজ (আমদানি) ২২৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সামগ্রিকভাবে সরকারি দলের অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে ভোক্তাদের জীবন চরমভাবে দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে।’
‘দ্রব্যমূল্যের লাগাতার ঊর্ধ্বগতি, সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য এবং সরকারের প্রতারণাপূর্ণ ভূমিকার কারণে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। পবিত্র এ রমজানেও তারা মানুষের সাথে প্রতারণা করছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ঊর্ধ্বমুখী দামে মানুষ আজ দিশেহারা। ডামি নির্বাচনের সরকার বাজারে সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে হাঁকডাক দিলেও এটা এখন প্রমাণিত যে, সরকারই সিন্ডিকেটের মূল পৃষ্ঠপোষক।’
বিএনপি বলেছে, ‘ফ্যাসিস্ট সরকার বিগত ১৬ বছরে কখনোই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে পারেনি।’
আরো বলা হয়েছে, ‘কয়েক দিন আগে সরকার গরুর গোশত, দেশি পেঁয়াজ, ছোলা, ব্রয়লার মুরগিসহ ২৯ নিত্যপণ্যের দাম বেঁধে দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে। বাজারে তারা ২৯টি পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেয়। কিন্তু তার কোনো কার্যকারিতা বাজারে নেই। বেঁধে দেয়া ২৯টি পণ্যের দাম তো কমেইনি বরং বেড়েছে। ফলে সরকারের এসব তৎপরতা যে জনগণকে কেবল ধোঁকা দেয়ার জন্যই সেটা এখন স্পষ্ট।’
‘শুধু তাই নয়, জনগণ এসব প্রতারণা বুঝে ফেলায় সরকারি দলের নেতারা এখন ন্যাক্কারজনকভাবে বাজারে দামের ঊর্ধ্বগতির দায় বিরোধীদলের ওপরে চাপাতে চাইছে। নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে ডামি সরকার অপপ্রচার, অপবাদ আর হুমকির আশ্রয় নিয়েছে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার চোখ রাঙিয়ে ক্ষুধার্ত মানুষের ক্ষোভকে দমিয়ে রাখতে চাচ্ছে।’
প্রধান বিরোধী দলটি আরো বলেছে, ‘জনদুর্ভোগ, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিসহ সকল অন্যায়-অবিচারের মূল কারণ জবাবদিহিতাবিহীন অগণতান্ত্রিক ফ্যাসিবাদী সরকার এবং একদলীয় রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার উদগ্র আওয়ামী বাসনা। সুতরাং জনগণকে ঐক্যবদ্ধভাবে এই সমস্যার মূলে আঘাত করতে হবে এবং জনগণের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
‘এই সিন্ডিকেটের পৃষ্ঠপোষক, লুটেরা ও প্রতারক ডামি সরকারের হাত থেকে রক্ষা পেতে হলে জনগণকেই এই মুহূর্তে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে,’ বলেছে বিএনপি।