নিউজার্সিতে অবস্থিত রাটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের দি সেন্টার ফর ইসলামিক লাইফে ঈদুল ফিতরের দিনে ব্যাপক ভাংচুর চালানো হয়েছে। কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশন্সের (কেয়ার) অনলাইনে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, মেঝেতে ভাঙা কাচ ছড়িয়ে আছে। এছাড়া টেলিভিশন, প্রিন্টার এবং পবিত্র কোরআনের আয়াত লেখা আর্টওয়ার্ক ভাঙা হয়েছে।
সিআইএলআরইউ এক বিবৃতিতে জানায়, ‘এটা একটা জঘন্য কাজ। আমাদের পবিত্র দিনে কাজটি করা হয়েছে। সন্দেহাতীতভাবে এটি রাটগার্সের মুসলিমদের টার্গেট করে ইসলামোফোবিয়ায় আক্রান্তদের হেইট ক্রাইম।’
সিআরএলআরইউ ইমরাম কায়সার আসলাম যে ভিডিওটি শেয়ার করেছেন তাতে দেখা যায়, খুঁটি থেকে একটি ফিলিস্তিনি পতাকা ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে বুধবার ভোররাতের মাঝামাঝি কোনো এক সময়ে ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সময় সেখানে কেউ ছিলেন না।
নিউজার্সির গভর্নর ফিল মারফি বলেন, তিনি এ ধলনের ঘটনার কথা শুনে ‘বিরক্ত’ হয়েছেন।
তিনি এক্স পোস্টে লিখেছেন, ‘এ ব্যাপারে তদন্ত করছি। মুসলিম ছাত্রদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা রাটগার্স এবং আইন প্রয়োগকারীদের সাথে কাজ করছি। নিউজার্সিতে ইসলামোফোবিয়ার কোনো স্থান নেই।’
এর এক দিন আগে ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভকারীরা একটি টাউন হলে চড়াও হয়েছিল। এ সময় দ্রুত সভাটি শেষ করা হয়। ইহুদি ছাত্রদের রক্ষা করতে পুলিশ এসে তাদের সরিয়ে নেয়।
এদিকে ফিলাডেলফিয়ায় ঈদুল ফিতরের একটি অনুষ্ঠানে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আটক করা হয়েছে পাঁচজনকে। এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
ফিলাডেলফিয়ার পুলিশ কমিশনার কেভিন বেথেল জানান, গত বুধবার পার্কে ঈদুল ফিতরের অনুষ্ঠান চলছিল। দুপুর ২ টায় হঠাৎ গোলাগুলি শুরু হয়। অন্তত ৩০ রাউন্ড গুলির শব্দ শুনতে পেয়েছেন তারা।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি দু’টি গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দের জেরে এই ঘটনা। এই ইভেন্ট উন্মুক্ত ছিল। কাজেই এতে যে কেউ ঢুকতে পারতো। আমরা ঘটনার বিস্তারিত জানতে তদন্ত শুরু করেছি।
পুলিশ জানায়, গোলাগুলিতে দু’জন আহত হন। পরে পুলিশের গুলিতে আহত হয় সন্দেহভাজন এক কিশোর। এ সময় আটকদের কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধারের দাবিও করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, ক্লারা মুহাম্মদ স্কয়ার পার্কের ফিলাডেলফিয়া মসজিদ প্রাঙ্গণে ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে প্রায় ১ হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিল।