লিওনেল মেসি আবারও জোড়া গোল করলেন। মেজর লিগ সকারে (এমএলএস নিউ ইংল্যান্ড রেভল্যুশনের বিপক্ষে তার জোড়া গোলেই ৪-১ ব্যবধানে বড় জয় পেয়েছে ইন্টার মায়ামি। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী দলের অধিনায়ক আগের ম্যাচে ন্যাশভিলের বিপক্ষে জোড়া গোল করেছিলেন।
আজ ফক্সবরোর জিলেট স্টেডিয়ামে জোড়া গোলে এবারের এমএলএসে নিজের গোল সংখ্যাটা ৯-এ নিয়ে গেছেন মেসি। এই গোল তিনি করেছেন ৭ ম্যাচ খেলে। নিজের খেলা ৭ ম্যাচের ৬টিতেই গোল পেয়েছেন তিনি। এর মধ্যে জোড়া গোল করেছেন তিন ম্যাচে। তিনি রিয়েল সল্ট লেকের কলম্বিয়ান ফরোয়ার্ড ক্রিস্তিয়ান আরাঙ্গোকে (৮) ছাড়িয়ে এবারের এমএলএসের গোলদাতার তালিকার শীর্ষে উঠে গেছেন।
ন্যাশভিলের বিপক্ষে আগের ম্যাচে জোড়া গোল করে মায়ামিকে উঠিয়েছিলেন পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে। নিউ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থানটা আরও সুসংহত করেছে ইন্টার মায়ামি। বর্তমানে ১১ ম্যাচে ৬টি জয় ও ৩ ড্রয়ে ২১ পয়েন্ট নিয়ে ইস্টার্ন কনফারেন্সের শীর্ষে তারা।
মেসির দল দুই কনফারেন্স মিলিয়েও একই অবস্থানে। দ্বিতীয় স্থানে লস অ্যাঞ্জেলেস গ্যালাক্সির পয়েন্টও ১১ ম্যাচে সমান ২১। তবে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকার কারণে পয়েন্ট তালিকায় তাদের অবস্থান দ্বিতীয় স্থানে। ইন্টার মায়ামির গোল ব্যবধান ১০, গ্যালাক্সির ৬।
এদিন অবশ্য ইন্টার মায়ামির শুরুটা ভালো হয়নি। প্রায় ৬৬ হাজার দর্শকের সামনে স্বাগতিক নিউ ইংল্যান্ড ম্যাচের ৪০ সেকেন্ডেই এগিয়ে যায়। ওই এগিয়ে যাওয়াই যেন কাল হয়েছে নিউ ইংল্যান্ডের! নিউ ইংল্যান্ডের রক্ষণে একের পর এক আক্রমণ রচনা করে যান মেসি। তবে গোল পেতে তাকে অপেক্ষা করতে হয় ৩২ মিনিট পর্যন্ত। রবার্ট টেলরের অ্যাসিস্টে অসাধারণ এক গোলে মায়ামিকে সমতায় ফেরান মেসি। ১-১ সমতায় প্রথমার্ধ শেষ করে মায়ামি।
মেসি মায়ামিকে এগিয়ে দেওয়া গোলটিও করেছেন। সের্হিও বুসকেতসের রক্ষণচেরা এক পাস থেকে আটবারের ব্যালন ডি’অর জয়য় মেসি গোলটি করেছেন ৬৭ মিনিটে। নামটা যখন মেসি, তিনি কি শুধু গোল করেই ক্ষান্ত থাকবেন, সতীর্থদের গোলে সহায়তা করবেন না!
মেসির নাম মায়ামির অন্য দুটি গোলেও জড়িয়ে আছে । ৮৮ মিনিটে ইন্টার মায়ামি পেয়েছে তাদের চতুর্থ গোল। লুইস সুয়ারেজের করা সেই গোলটি এসেছে মেসির দুর্দান্ত এক পাস থেকেই। এর আগে ৮৩ মিনিটে বেঞ্জামিন ক্রিমাশ্চি যে গোলটি করেছেন, সেটিতেও জড়িয়ে আছে মেসির নাম। মেসির বাঁ পায়ের দুর্দান্ত শট নিউ ইংল্যান্ডের গোলকিপার সামনে পাঞ্চ করে দেন। বল চলে যায় বক্সের মধ্যেই দাঁড়িয়ে থাকা ক্রিমাশ্চির কাছে। সহজেই বল জালে জড়ান তিনি।