নবী-রাসুলগণ আল্লাহর অনুগ্রহ
আল্লাহর অসংখ্য অনুগ্রহের মধ্যে অন্যতম প্রধান অনুগ্রহ হলো পৃথিবীতে নবী-রাসুল প্রেরণ করা। কেননা তাঁদের মাধ্যমে মানুষ আল্লাহর পরিচয় ও নৈকট্য লাভ করতে পারে। ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ মুমিনদের প্রতি অবশ্যই অনুগ্রহ করেছেন যে তিনি তাদের নিজেদের মধ্যে থেকে তাদের কাছে রাসুল প্রেরণ করেছেন, যে তার আয়াতগুলো তাদের কাছে তিলাওয়াত করে, তাদেরকে পরিশোধন করে এবং কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দেয়। যদিও তারা আগে স্পষ্ট বিভ্রান্তিতেই ছিল।
নবীজি (সা.) সবচেয়ে বড় অনুগ্রহ
নবী-রাসুল (আ.) আল্লাহর অনুগ্রহ ছিলেন। তবে সবচেয় বড় অনুগ্রহ ছিলেন মহানবী (সা.)। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘আমি তোমাকে বিশ্বজগতের প্রতি কেবল রহমতরূপেই প্রেরণ করেছি।’ (সুরা : আম্বিয়া, আয়াত : ১০৭)
যে কারণে সবচেয়ে বড় অনুগ্রহ
আল্লাহ আদম (আ.)-এর মাধ্যমে পৃথিবীতে ইসলামচর্চার সূচনা করেছিলেন, যা যুগে যুগে নবী-রাসুলদের মাধ্যমে পূর্ণতা লাভ করতে থাকে।
আনুগত্যেই কৃতজ্ঞতা
আল্লাহ অনুগ্রহ করে পৃথিবীতে নবী-রাসুলদের পাঠিয়েছেন।
সন্তোষ প্রকাশে কৃতজ্ঞতা
আল্লাহ, তাঁর রাসুল ও দ্বিনের প্রতি সন্তোষ প্রকাশের মাধ্যমেও ব্যক্তি আল্লাহর অনুগ্রহের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারে। ইরশাদ হয়েছে, ‘বোলো, এটা (কোরআন) আল্লাহর অনুগ্রহ ও তাঁর দয়ায়; সুতরাং তাতে তারা আনন্দিত হোক। তারা যা পুঞ্জীভূত করে তার চেয়ে এটা উত্তম।’ (সুরা : ইউনুস, আয়াত : ৫৮)
অবাধ্যতাই অকৃতজ্ঞতা
রাসুলের নির্দেশ অমান্য করাই আল্লাহর অনুগ্রহের প্রতি অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ। আল্লাহ বলেন, ‘সুতরাং যারা তাঁর আদেশের বিরুদ্ধাচরণ করে তারা সতর্ক হোক যে বিপর্যয় তাদের ওপর আপতিত হবে অথবা আপতিত হবে তাদের ওপর মর্মন্তুদ শাস্তি।’ (সুরা : নুর, আয়াত : ৬৩)
আল্লাহ সবাইকে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়ার তাওফিক দিন। আমিন।