বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের তিন কৃতি সন্তান যথাক্রমে নিউইয়র্কের বিশিষ্ট চিকিৎসক, নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশন ইউএসএ’র ট্রাষ্টি বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ডা. মোহাম্মদ হামিদুজ্জামানের মাতা ফাজিলাতুন নেসা, ফাউন্ডেশনের সভাপতি ডা. চৌধুরী সারোয়ার হাসান ও উপদেষ্টা ডা. চৌধুরী মঞ্জুুর হাসানের রত্নগর্ভা মাতা রওশনারা নূরুন নাহার, বাংলাদেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনীন-এর মাতা আবিদা মনসুর এবং বৃহত্তর রাজশাহী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মজিদ আকন্দের মাতা ও মোহাম্মদ শাহাদত হোসেনের ইন্তেকালে নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশন ইউএসএ ইন্ক শোক সভা ও দোয়া মাহফিল করেছে। এছাড়া বিগত দিনে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হাসানুজ্জামান হাসানের বড় ভাই মোহাম্মদ সেলিম, উত্তবঙ্গবাসী পানি বিশেষজ্ঞ ড. আবু সুফিয়ান এবং আল মামুন ও শাহ নওয়াজ সহ উত্তরবঙ্গের সকল মৃতব্যক্তিদের জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়। গত ৫ মে রোববার সন্ধ্যায় জ্যামাইকার খলিল বিরিয়ানী হাউজ মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। খবর ইউএনএ’র।
ফাউন্ডেশনের সভাপতি ডা. চৌধুরী সারোয়ার হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিলে বিশেষ দোয়া মুনাজাত পরিচালনা করেন হাফেজ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে ডা. মোহাম্মদ হামিদুজ্জামা ন ও ডা. চৌধুরী সারোয়ার হাসানের অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য সংগঠনের উপদেষ্টা অধ্যাপিকা হুসনে আরা, ডা. চৌধুরী মঞ্জুুর হাসান, মোহাম্মদ দবিরুল হক, মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, জহিরুল হক টুকু ও মাহাবুবুর রহমান, সাবেক সভাপতি ডা. আব্দুল লতিফ, সিনিয়ার সহ সভাপতি এবিএম মিজানুল হাসান, সহ সভাপতি আবু তাহের, আজিজুল হক মুন্না, ফরহাদ হোসেন রোজেন, জাহাঙ্গীর আলম, তাসকিনুল হক, বৃহত্তর রাজশাহী সমিতির সাবেক সভাপতি ও কার্যনির্বাহী সদস্য মোতাহার হোসেন, ঠাকুরগাঁ জেলা সমিতির সাবেক সভাপতি ফিলিপ, বৃহত্তর রাজশাহী সমিতি ইউএসএ’র সভাপতি মোহাম্মদ মজিব উদ্দিন জেন্টু, রাজশাহী জেলা সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শমসের আলী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সমিতির সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন, নওগাঁ জেলা সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফজল হাসানুজ্জামান টিপু, ডা. নার্গিস রহমান, মোহর খান, শফিউল আলম, রাহিমুল হুদা, শাহানা পারভীন রিনা প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোজাফফর হোসেন।
সভায় বক্তারা এমন অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রশংসা করে বলেন, নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশন অন্যান্য কর্মকান্ডের পাশাপাশি সব সময় সংগঠনের কর্মকর্তা ও সদস্য এবং উত্তবঙ্গবাসীদের সুখ-দুখে পাশে থাকবেন এটাই কামনা। বক্তারা বলেন, মা কি জিনিস মা বেঁচে থাকলে তা আমরা বুঝতে পারি না। তাই মায়ের মৃত্যুর আগেই সকল সন্তানের উচিৎ মা বেঁচে থাকতেই যাথায়ত সম্মানের সাথে খেদমত করা।
প্রাকৃতিক দূর্যোগের মধ্যেও ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা পরিষদ, কাযকরী কমিটির কর্মকর্তা ও উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক সহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী উত্তরবঙ্গবাসী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানটি আয়োজনে বিশেষ সহযোগিতায় ছিলেন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও কার্যনির্বাহী সদস্য হাসানুজ্জামান হাসান ও সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ রাকিবুজ্জামান খান তনু।
উল্লেখ্য, কাকতালীয়ভাবে এক সপ্তাহের মধ্যে নিউইয়র্ক প্রবাসী তিন উত্তরবঙ্গবাসীর মাতৃবিয়োগ ঘটে। উত্তরবঙ্গবাসীদের মধ্যে ডা. মোহাম্মদ হামিদুজ্জামান ও কন্ঠশিল্পী বেবী নাজনীন নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরের বাসিন্দা এবং ডা. চৌধুরী সারোয়ারুল হাসান ঠাকুরগাঁও জেলার বাসিন্দা। ডা. মোহাম্মদ হামিদুজ্জামানের মাতা ফজিলাতুন নেসা গত ২০ এপ্রিল নিউইয়র্ক সিটির হলিসে কন্যার বাসায়, কন্ঠশিল্পী বেবী নাজনীনের মাতা আবিদা মনসুর গত ১৭ এপ্রিল ঢাকার একটি হাসপাতালে এবং ডা. চৌধুরী সারোয়ারুল হাসানের মাতা রওশন আরা নূরুন নাহার গত ২২ এপ্রিল ঠাকুরগায়ে ইন্তেকাল করেন।