প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের মহামারির মধ্যে আর্থিক সঙ্কটের কারণ দেখিয়ে এবার রোজার ঈদে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের শিক্ষক, চিকিৎসক ও কর্মচারীদের উৎসব ভাতা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মালিকরা।
গত ২ এপ্রিল বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএমসিএ) নির্বাহী কমিটির জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের ইতিমধ্যে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘করোনাভাইরাস মহামারি চলাকালে বাংলাদেশের সকল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল গভীর সঙ্কটের সম্মুখীন হয়ে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তাই সংগঠনের সদস্যভুক্ত মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের শিক্ষক, চিকিৎসক ও কর্মচারীদের উৎসব বোনাস প্রদান করা হবে না।’
বিপিএমসিএ বলছে, এপ্রিল মাসে তারা অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষকদের ৬০ শতাংশ বেতন দেবে। তবে তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের শতভাগ বেতন দেওয়া হবে।
এ ছাড়া যেসব চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টা কাজ করছেন, তাদের শতভাগ বেতন দেওয়া হবে। কলেজ স্টাফদের মধ্যে যারা অনুপস্থিত, তারা পাবেন ৬০ শতাংশ বেতন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংগঠনের সভাপতি এবং ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের ডিএমডি ডা. এম এ মুবিন খান বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতেই সকলের সাথে আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে প্রণোদনা পাওয়া গেলে আমরা এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে পারি।’