স্বপ্নের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথমবারের মতো কোনো বৈশ্বিক শিরোপার শেষ ধাপে ওঠে গেল তারা। দুই ফরম্যাট মিলিয়ে আটবার ব্যর্থ হবার পর এবার ভেঙেছে সেমিফাইনাল গোলকধাঁধা। আফগানিস্তানকে গুঁড়িয়ে দিয়ে অনন্য শিরোপাটির খুব কাছে প্রোটিয়ারা।
প্রথমবারের মতো সেমিফাইনাল খেলতে নেমে যেন তালগোল পাকিয়ে ফেলে আফগানিস্তান। বাংলাদেশ সময় আজ বৃহস্পতিবার সকালে প্রোটিয়া বোলারদের তোপে গুটিয়ে যায় ১১.৫ ওভারে মাত্র ৫৬ রানে। যা ৮.৫ ওভারে ৯ উইকেট হাতে রেখেই পেরিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
টানা আট জয়ে অপরাজিত থেকে সেমিফাইনালে আসার পরও এবি ডি ভিলিয়ার্স বলেছিলেন, সেরাটা এখনো দেয়ার বাকি দক্ষিণ আফ্রিকার। সেরা পারফর্ম কেমন হতে পারে, তারই একটা ঝলক যেন দেখা গেল ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে।
৫৬/১০, সেমিফাইনালে ইতিহাসে সর্বনিম্ন তো বটেই, এই প্রথম কোন দলের শেষ চারে একশ রানের আগে অলআউট হবার রেকর্ড এটি, যা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আফগানদের সর্বনিম্ন স্কোর।
আফগানদের লজ্জায় ডুবিয়ে ফাইনালে যাবার পথ তখনই সুগম করে ফেলে দক্ষিণ আফ্রিকা। বাকি কাজটা ছিল ব্যাটারদের। যা করতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি তাদের। কুইন্টন ডি ককের উইকেটটা হারালেও অনায়াসেই তুলে নিয়েছে জয়।
দ্বিতীয় ওভারে ফজলে হক ফারুকী ডি কককে ফেরান ৫ রানে। তবে সেখানেই শেষ তাদের উদযাপনের উপলক্ষ। এইডেন মার্করাম ও রেজা হেনড্রিকস মিলে বাকি কাজটা সারেন, গড়েন ৪৩ বলে ৫৫* রানের জুটি। রেজা ২৫ বলে ২৯ ও মার্করাম অপরাজিত থাকেন ২১ বলে ২৩ রানে।
এর আগে প্রোটিয়াদের ধসিয়ে দিয়ে আসল কাজটা করেন বোলাররাই। প্রথম ওভারেই তুলে নেয় সবচেয়ে মূল্যবান উইকেট, ফেরান রহমানুল্লাহ গুরবাজ। আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক এই ব্যাটার ফেরেন রানের খাতা খোলার আগেই।
এক ওভার পর তিনে নামা গুলবাদিন নাইবকেও তুলে নেয় প্রোটিয়ারা৷ ৮ বলে ৯ রানে ফেরেন তিনি। দুটো উইকেটই নেন মার্কো জানসেন। তবে আসল ধাক্কা আসে চতুর্থ ওভারে, বল হাতে এসেই জোড়া উইকেট তুলে নেন রাবাদা। ফেরান ইবরাহীম জাদরান ও মোহাম্মদ নাবিকে।
পরের আঘাত আসে এনরিখ নর্খিয়ার থেকে৷ পঞ্চম ওভারের শেষ বলে ফেরান খারুতিকে (২)। ২৩ রানে ৫ উইকেট হারায় আফগানিস্তান৷ এর আগে সেমিফাইনালে ৫ উইকেট হারানোর রেকর্ড নেই কখনো কোনো দলের।
আফগানিস্তানের হয়ে শুধু ওমারজাই (১০) দুই অঙ্কের রান করতে পেরেছেন। তাছাড়া রশিদ খান ও করিম জানাত করেন ৮ করে রান। তাতেই পঞ্চাশের ঘর পাড়ি দেয় আফগানিস্তানের ইনিংস।