মানুষ বাঁচলো না কি মরলো সেদিকে সরকারের লক্ষ্য নেই মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ক্ষমতাসীন সরকার আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখলে সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা এতো বেশি হতো না। সরকার অনেক সময় পেলেও সেদিকে মনোযোগ দেয়নি। তারা উৎসব পালনে ব্যস্ত ছিল। আজকে এই দুঃসময়ের মধ্যেও মামলা দিয়ে ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। যারা সত্য কথা বলে ব্লগার, সাংবাদিক তাদেরকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা হচ্ছে। যারা নিরপেক্ষ ও সত্য কথা বলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হচ্ছে।
রোববার সকালে রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের উদ্যোগে গরিব মানুষের মাঝে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে উপহার সামগ্রী বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ত্রাণ বিতরণের আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে রুহুল কবির রিজভী বলেন, করোনা আজকে ভয়ংকর পরিস্থিতিতে যখন সংক্রমণের মাত্রা বাংলাদেশে বৃদ্ধি পেয়েছে, গ্রামেগঞ্জে ছড়িয়ে পড়ছে, তখন সরকার লকডাউন তুলে দিয়ে মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে। সরকারের কাছে অর্থনীতি আগে বড় বড় ব্যবসায়ীদের স্বার্থ আগে। মানুষের জীবন চলে যাচ্ছে এটা বড় কথা নয়। মানুষ মরলো না কি বাঁচলো সেটা সরকারের কাছে বড় কথা নয়।
তিনি বলেন, করোনায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। টেস্ট করার কোনো উপায় নাই। পর্যাপ্ত মেডিকেল সহায়তা নেই। এইটা সরকার খেয়াল করছে না। এটার কোনো গুরুত্ব দিচ্ছে না সরকার। যে খাদ্য ছিল তা দিয়ে ২-৩ মাস গরিব মানুষকে চালাতে পারতাম। বাড়িতে বাড়িতে খাদ্য পৌঁছে দিতে পারতাম না? নিশ্চয়ই পারতাম। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সেনাবাহিনীকে দিয়ে যারা গার্মেন্টসে কাজ করে, দিন আনে দিন খায়, রিকশাচালক তাদের সবাইকে দিতে খাবার দেয়া যেতো। সরকার ওদিকে যায়নি।
সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, পর্যাপ্ত মেডিকেল ইকুইপমেন্ট না পেয়ে হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স মারা যাচ্ছে। যারা প্রতিবাদ করছে তাদের বরখাস্ত বা চাকরিচ্যুত করা হচ্ছে। চিকিৎসা না পেয়ে সরকারের একজন উপসচিব মারা গেছেন। তাহলে কোথায় সেই চিকিৎসা?
রিজভী বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের বলা হয়েছে- সারাদেশের মানুষের পাশে থাকতে। বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে দুই বছর অন্যায়ভাবে কারাবন্দী করে রাখা হয়েছিল। তিনি আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন সারাদেশের মানুষের পাশে দাঁড়াতে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সারাদেশের প্রতিনিয়ত খোঁজখবর রাখছেন। আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন সকল স্তরের নেতাকর্মীরা যেন মানুষের পাশে দাঁড়ায়। বিএনপির নেতা-কর্মীরা খাবেন অন্যরা খাবে না এমন যেন না হয়। আমরা সেটাই চেষ্টা করছি। সরকারি ত্রাণ পাইনি। বরং আমাদের নেতাকর্মীদের নিজেদের টাকায় কেনা ১৩ লক্ষ পরিবারকে সহায়তা করেছি। বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দলসহ সব অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা সারাদেশে ত্রাণ বিতরণ করছেন।