ফেরেশতারা নিষ্পাপ। তারা মহান আল্লাহর বিস্ময়কর সৃষ্টি। তাদেরকে নুর দ্বারা সৃষ্টি করা হয়েছে। তারা সর্বদা মহান আল্লাহর তাসবিহ জপেন এবং তার ইবাদতে মগ্ন থাকে। মহান আল্লাহর খুব নিকবর্তী, সর্বদা তার ইবাদতে মগ্ন থাকেন।
ফেরেশতাদের দোয়া কবুল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। তারা যাদের জন্য দোয়া করেন তারা সৌভাগ্যবান। কিছু মুমিন বান্দা রয়েছেন, যাদের জন্য ফেরেশতারা দোয়া করেন।
যারা দরুদ পড়ে
যারা নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর দরুদ পড়ে তাদের জন্য ফেরেশতারা দোয়া করেন। হজরত আবদুল্লাহ বিন আমের বিন রাবিয়া তার পিতা হজরত আমের (রা.) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমি নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামেকে মিম্বারে বক্তব্য দিতে গিয়ে দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছি, ‘যে ব্যক্তি আমার প্রতি দরুদ পেশ করবে ফেরেশতারা তার জন্য দোয়া করবে। তারা ততক্ষণ পর্যন্ত দোয়া করতে থাকবে, যতক্ষণ সে দরুদ পেশ করতে থাকবে। সুতরাং কম হোক বেশি হোক, যার ইচ্ছা সে দরুদ পড়তে পারে।’ (সহিহুল জামে: ৫৭৪৪)
যারা অন্যের জন্য দোয়া করে
যারা অন্যের জন্য দোয়া করে তাদের জন্য ফেরেশতারাও দোয়া করেন। নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, কোনো মুসলমান তার অনুপস্থিত ভাইয়ের জন্য দোয়া করলে তা কবুল করা হয় এবং তার মাথার কাছে একজন ফেরেশতা নিযুক্ত থাকে। যখন সে তার ভাইয়ের জন্য কল্যাণের দোয়া করে তখন নিযুক্ত ফেরেশতা বলে, আমিন। অর্থাৎ ‘হে আল্লাহ! কবুল করুন এবং তোমার জন্য অনুরূপ (তোমার ভাইয়ের জন্য যা চাইলে আল্লাহ তোমাকেও তা দান করুন)।’ (মুসলিম: ৮৮)
মসজিদের প্রথম কাতারে যারা নামাজ আদায় করেন
যারা মসজিদে প্রথম কাতারে নামাজ আদায় করে তাদের জন্য ফেরেশতারা দোয়া করে। হজরত বারা বিন আজেব (রা.) বলেন, আমি নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, ‘নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ প্রথম কাতারে নামাজ আদায়কারীর প্রতি রহমত বর্ষণ করেন এবং ফেরেশতারা তাদের জন্য রহমতের দোয়া করেন।’ (ইবনে মাজাহ: ৯৮৭)
দানকারীর জন্য
যারা প্রতিদিন কিছু না কিছু দান করে তারা ফেরেশতাদের দোয়া পাওয়ার সৌভাগ্য লাভ করেন। নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘প্রতি সকালে মানুষ যখন ঘুম থেকে ওঠে তখন দুজন ফেরেশতা আসেন। তাদের একজন বলেন, হে আল্লাহ, দানকারীদের ধন আরও বাড়িয়ে দিন। আর দ্বিতীয়জন বলেন, হে আদ পড়তে পারে।’ (সহিহুল জামে: ৫৭৪৪)