আসন্ন ২৩জুনের নির্বাচনে মার্কিন নাগরিক হিসাবে ভোট প্রদান আপনার নৈতিক দায়ীত্ব ও কর্তব্য। আপনি রাজনীতি বিমুখ হতে পারেন, সেটা আপনার একান্ত নিজস্ব পছন্দ বা অপছন্দ। কিন্তু জাতীয় রাজনীতির নেতা নির্বাচনে মার্কিন নাগরিক হিসাবে অংশ নেয়া আপনার ব্যক্তিগত নাহলেও বাংলাদেশী কমিউনিটির স্বার্থে একান্ত অপরিহার্য।
যুক্তরাষ্ট্রের বাঙালি অধ্যুষিত এলাকা গুলিতে বাৎসরিক মেলা, পিঠা উৎসব, পূজা পার্বন এমনকি রাজনৈতিক মিটিং মিছিলে শত শত কিংবা হাজার হাজার প্রবাসীদের সমাগম ঘটে অথচ মার্কিন নাগরিক হয়েও অনেকেই যুক্তরাষ্ট্রের ভোট প্রদানে বেশ অলসতার আশ্রয় নিয়ে থাকেন। তাই আর অলসতা নয় দেশের স্বার্থে, জাতির স্বার্থে এমনকি বাংলাদেশী কমিউনিটির স্বার্থে অবশ্যই ২৩ জুনের নির্বাচনে নিজে অংশ নিবেন এবং অপরকেও ভোট প্রদানে উৎসাহিত করবেন। এটাই আপনার দায়ীত্ব।
জন্মেছি বাংলাদেশে কিন্তু বাস্তবতার তাগিদে জীবনের অধিকাংশ সময়টুকুই কেটে গেছে অথবা কেটে যাবে এই মার্কিন মুল্লুকে। যে দেশে দীর্ঘদিন থাকতে হবে, খাইতে হবে, সম্পদ গড়তে হবে, সন্তানদের মানুষ করতে হবে সেদেশে নিজের কমিউনিটিকে শক্তিশালী করতে হবে এটাইতো স্বাভাবিক। আপনি মার্কিন নাগরিক হয়েও যদি নাগরিকের অধিকার আদায় করে নিতে না পারেন সেটা আপনারই ব্যর্থতা। কমিউনিটির বা নিজের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আমাদের সঙ্গবদ্ধ থাকা উচিত, “নাগরিক অধিকার” ভোট প্রদান করে প্রশাসনকে জানাতে হবে আমরা এখন আর ছোট নই – বিশাল কমিউনিটি আমাদের। তাহলেই আমরা আমাদের পূর্ণাঙ্গ অধিকার আদায় করতে পারবো।
এবারের নির্বাচনে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশী প্রার্থী অংশ গ্রহণ করেছেন তাই যার যার এলাকায় ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশী প্রার্থীদের বিজয়ী করতে হবে। মার্কিন প্রশাসনে শক্ত কমিউনিটির জানান দেয়া ছাড়া আমরা কোনোদিন আমাদের পূর্ণাঙ্গ অধিকার আদায় করতে পারবোনা। তাই আসুন সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে ২৩জুনের নির্বাচনে ভোট প্রদান করি এবং মূলধারার রাজনীতিতে বাংলাদেশী নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করি।