সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে প্রতিবছর শীত হানা দেয়।নভেম্বর থেকে শুরু করে ফেব্রুয়ারি মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত এই জেলায় শীতের প্রকোপ থাকে।তবে ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে এর প্রকোপ বেশি থাকে।নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। আজ ডিসেম্বর তাপমাত্রার পারদ ১০ ডিগ্রির ঘরে অবস্থান করছে।
আজ রবিবার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস।এর আগের দিন গতকাল শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।তার আগে শুক্রবার ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়া পর্যবেক্ষক কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, কনকনে শীতে কাঁপতে শুরু করেছে পঞ্চগড়ের শীতার্ত মানুষ। হিমালয় বরফের পাহাড় থেকে বয়ে আসা উত্তরের পাহাড়ি হিমশীতল বাতাসের সঙ্গে সঙ্গে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। সেই সঙ্গে গভীর রাত থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে জেলার চারপাশ। দিন দিন বাড়ছে শীতের প্রকোপ। রাত যত বাড়ে শীতের প্রকোপ তত বাড়ছে। সব থেকে বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে রাত থেকে পরদিন সকাল ৮টা পর্যন্ত।
সকালে গায়ে গরম কাপড় জড়িয়ে কাজের সন্ধানে বের হয়েছেন শ্রমজীবীরা। তবে বেলা গড়ালে শীত খানিকটা কমলেও বিকেল হতেই আবারও শীত অনুভূত হচ্ছে বলে জানান আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা।
এদিকে পঞ্চগড়ে শীতজনিত রোগ বেড়ে গেছে।বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা আক্রান্ত হচ্ছেন সর্দি, কাশি, হাঁপানি এবং নিউমোনিয়াসহ নানা শীতজনিত রোগব্যাধিতে।জেলা সদরসহ উপজেলা পর্যায়ের স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে এসব রোগী বর্হিবিভাগে ও ভর্তি হয়ে অভ্যন্তরীণ চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন।