মাস্ক ছাড়া কাউকেই নিউইয়র্ক অঞ্চলের দোকানপাট এবং কলকারখানায় প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। দোকানের কর্মচারিরাও মাস্ক পরবে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করবে। গতকাল বৃহস্পতিবার এক নির্বাহী আদেশে নিউইয়র্ক এবং নিউজার্সির গভর্ণররা এই বিধি জারি করেছেন।
উল্লেখ্য, এদিন ছিল নিউইয়র্কে লকডাউনের শেষ দিন। নিউইয়র্ক সিটি ছাড়া অন্য সকল এলাকায় ‘আর্থিক কর্মকান্ডসহ জনজীবন সচল করতে লকডাউন শিথিলের প্রথম ধাপ শুরু হয়েছে। এই সিটিতেও খুব শিগগিরই তা শুরু হবে বলে স্টেট গভর্ণর এবং সিটি মেয়র পৃথক প্রেস ব্রিফিংয়ে উল্লেখ করেছেন।
তবে সুনির্দিষ্ট সময়সূচি ঘোষণা করেননি। অপরদিকে সিটিতে লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির ঘোষণাও দেননি। অধিকন্তু নিউইয়র্ক সিটির রেস্টুরেন্টগুলোর মধ্যে যেসবে বারান্দায় সীটিং এ্যারেঞ্জমেন্ট ছিল-সেগুলোর অনুমতি দেয়া হবে লকডাউন শিথিলের প্রথম ধাপেই। শুধু তাই নয়, ব্যস্ততম এলাকার রাস্তা বন্ধ করে তার ওপর রেস্টুরেন্ট চালুর কথাও বলেছেন সিটি মেয়র। ১ জুন থেকে সিটিতে করোনা টেস্ট এবং পজিটিভ লোকজনকে মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা জোরদার হওয়ার পরই প্রথম ধাপে কন্সট্রাকশন, ম্যানুুফেক্চারিং, হোলসেল সাপ্লাই এবং জরুরী নয় এমন সামগ্রি যেমন ক্লোথ এবং ইলেক্ট্রনিক স্টোরও কিছু শর্তে খোলা হবে বলে সিটি মেয়র উল্লেখ করেছেন।
আর এভাবেই সোয়া দুই মাসের অবরুদ্ধ অবস্থার অবসানের পথ সুগম করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহ থেকে এই স্টেটে দৈনিক মৃত্যুর হার একশতজনের নীচে নেমেছে। মঙ্গল এবং বুধবার মারা গেছে ৭৪, সোমবার ছিল ৭৩ জন। হাসপাতালসমূহেও নতুন রোগী ভর্তির সংখ্যা অনেক কমেছে। আগে থেকেই চিকিৎসাধীনরাও অনেকেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এভাবেই ভয়ংকর একটি পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের ছোঁয়া পাচ্ছেন নগরবাসী।