ইকথায়োসিস শব্দটি গ্রিক Ichthys শব্দ থেকে উৎপত্তি হয়েছে, যার অর্থ হচ্ছে মাছ। এটি এমন একটি রোগ যেখানে স্কিন ড্রাই বা শুষ্ক থাকে এবং দেখতে মাছের আঁশের মতো দেখায়। অনেক ধরনের ইকথায়োসিস আছে, তবে ৯৫ শতাংশ রোগী Ichthyosis Vulgaris ধরনের। রোগের তীব্রতা একেক রোগীর একেক রকম থাকে। কারও স্কিন হালকা ড্রাই বা শুষ্ক থাকে, কারও স্কিন কুৎসিত রকম মাছের আঁশের মতো কালো থাকে, কারও স্কিন ফেটে রক্ত ও আঠালো রস পড়তে থাকে। কারণ:-ওIchthyosis vulgaris: প্রতি ১ হাজার মানুষের মধ্যে একজন এ রোগে আক্রান্ত। বাবা অথবা মা থেকে এ রোগ সন্তানের মাঝে যায়। Recessive X-linked ichthyosis: প্রতি ৬ হাজার পুরুষের মধ্যে একজন এ রোগে আক্রান্ত। মা থেকে এ রোগ সন্তানের মাঝে যায় কিন্তু মায়ের এ রোগ থাকে না। Autosomal recessive congenital ichthyosis : প্রতি ৫ লাখ মানুষের মধ্যে একজন এ রোগে আক্রান্ত। বাবা এবং মা দুজন থেকেই এ রোগ সন্তানের মাঝে যায়। Keratinopathic ichthyoses: প্রতি ২ লাখ মানষের মধ্যে একজন এ রোগে আক্রান্ত। বাবা এবং মা দুজন থেকেই এ রোগ সন্তানের মাঝে যায়। কিছু কিছু ওষুধ খেলে হতে পারে যেমন-Nicotinic acid, Kava, Targeted cancer therapy (eg vemurafenib, EGFR and protein kinase inhibitors).
শরীরের ভেতরের কিছু রোগের উপসর্গ হতে পারে-এইডস, কুষ্ঠ, হাইপো, থাইরয়েড, শরীরের ভেতরের ক্যান্সার।
চিকিৎসা: ১. যদি কোনো ওষুধের কারণে হয়, তাহলে সে ওষুধ বন্ধ করতে হবে। ২. যদি কোনো রোগের কারণে হয়, তাহলে সে রোগের চিকিৎসা করাতে হবে। ৩. প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে সাবান, বডি ওয়াশ বন্ধ করতে হবে এবং প্রচুর Olive Oil, Petroleum jelly, Glycerin, নারিকেল তেল লাগাতে হবে।