মাশরাফি বিন মুর্তজা এবং সাকিব আল হাসান বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য যা করেছেন তার কাছাকাছি যেতে পারলেও খুশি হবেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। প্রথম দিকের ক্রিকেটের দিনগুলোতে তিনি সাকিবের সমর্থক হিসেবে কতোটা উন্মাদ ছিলেন সেটিও সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তুলে ধরেন সাইফউদ্দিন।
২০১৭ সালে কলম্বোয় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এক টি-টোয়েন্টি ম্যাচের মধ্য দিয়ে সাইফউদ্দিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষিক্ত হন। একই সিরিজে বাংলাদেশের তৎকালীন অধিনায়ক মাশরাফি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে বিদায় জানান। একই বছরের অক্টোবরে সাইফউদ্দিন কিম্বারলিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে দলে জায়গা পান।
এখন পর্যন্ত এই অলরাউন্ডার ২২টি ওয়ানডে এবং ১৫টি টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম তিন বছরের মধ্যেই প্রায়শই তাকে মাশরাফি এবং সাকিবের সাথে টাইগারদের ভবিষ্যত তারকা হিসেবে তুলনা করা হয়। তবে সাইফউদ্দিন বিশ্বাস করেন যে, মাশরাফি এবং সাকিব নিজেদের অভিষেকের সময় থেকেই দলের জন্য বড় অবদান রেখেছেন।
সাইফউদ্দিন খেলাধুলা বিষয়ক উপস্থাপক নোমান মোহাম্মদকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, মানুষ যখন আমাকে মাশরাফি ভাই বা সাকিব ভাইয়ের সাথে তুলনা করে তখন আমি গর্ব বোধ করি। একজন মানুষ হিসেবে, নিজের প্রশংসা শুনতে ভালো লাগে। কিন্তু আমি এটিকে বেশি গুরুত্ব দেই না। কারণ মাশরাফি এবং সাকিব ভাই দুজনেই ২০০টিরও বেশি ওয়ানডে খেলেছেন। বিপরীতে, আমি এখনও গর্ব করার মতো কিছু করিনি। আমি আমার ক্যারিয়ারের প্রাথমিক পর্যায়ে আছি।’
‘তবে এই তুলনা আমাকে আরও আত্মবিশ্বাস অর্জনে এবং ভালো খেলতে সহায়তা করে। মাশরাফি ভাই বিশ্বকাপের আগে একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে আমি দলের জন্য একটি সম্পদ। আমার ওপর তাদের যে বিশ্বাস, এটি একটি বড় সম্মান,’ যোগ করেন তিনি।
সবসময় ভালো পারফরম্যান্সের চেষ্টা করার কথা উল্লেখ করে সাইফউদ্দিন আরও বলেন, ‘আমি সবসময় ভালো খেলার চেষ্টা করি যাতে সাকিব ভাই এবং মাশরাফি ভাই বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য যা করেছে তার কাছাকাছি যেতে পারি।’
নিজের প্রথম দিকের ক্রিকেটের দিনগুলোতে সাকিবের সমর্থক হিসেবে কতোটা উন্মাদ ছিলেন সে কথা স্মরণ করে ২৩ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার বলেন, একই দলে সাকিবের সাথে খেলতে পারা এবং দেশের সেরা অলরাউন্ডারের সাথে ড্রেসিংরুম ভাগ করে নেয়া আমার কাছে স্বপ্নের মতো ছিল।ইউএনবি