শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪১ অপরাহ্ন

আজগুবি চলচ্চিত্র ও কুরুচিপূর্ণ বিজ্ঞাপনের ভাইরাস

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২০ জুন, ২০২০
  • ২৭২ বার

সারা দিন শুয়ে-বসে-ঘুমিয়ে কাটালে রাতে কি আর সুনিদ্রা হয়? না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তবু ৫ মিলিগ্রাম ঘুমের জন্য ১০ মিলিগ্রাম ওষুধ খেয়ে কোনোমতে দু’চোখের পাতা বন্ধ হয়ে এলেই শুরু হয় স্বপ্নের (দুঃস্বপ্নের?) বুড়বুড়ি : করোনার আজদাঁহা অজগর গিলে খাচ্ছে গোটা বাংলাদেশ; শেয়ারবাজারের ধস নেমে সব অভ্রংলিহ মহীরুহের সলিলসমাধি; দেশের ৩৪ কোটি হাতের ৩০ কোটিই এখন রাজপথ-জনপদে প্রসারিত অবশিষ্ট সৌভাগ্যের বরপুত্রদের দিকে; রিলিফের চাল-গম-টাকা নিয়ে সটকে পড়েছে ইবলিসের শিষ্যরা… ইত্যাদি ইত্যাদি। তারপর সকাল ৮টা-৯টা পর্যন্ত বিছানায় গড়াগড়ি করে একসময় ক্লান্ত অবসাদক্লিষ্ট দেহটাকে বিছানা থেকে টেনে তুলে প্রাতঃকৃত্যাদির পর নাশতার টেবিলে বসে প্রথমে টিভির ‘রিমোট’টা টিপে দেন। সঙ্গে সঙ্গে টিভির পর্দায় ভেসে ওঠে হয় ঢিসুম ঢিসুম, আর না হয় একটি অত্যন্ত নোংরা, দেখলেই বমি আসে মত, কমোড বা টয়লেট প্যানের ‘জীবন্ত’ ছবি। আপনি তখন অদৃশ্য প্রদর্শকদের শাপান্ত-বাপান্ত করতে করতে উঠে পড়েন খাবার টেবিল থেকে, গজগজ করতে থাকেন : অসভ্যগুলান দিল দিনটাই মাটি করে।

কেউ হয়তো বলতে পারেন, এইসব ছেলে ভোলানো কার্টুন ছবি মার্কা ঢাকাইয়া সিনেমা আর অতিবাস্তব-পরাবাস্তবধর্মী বিজ্ঞাপনচিত্র দেখার জন্য কে আপনাকে মাথার দিব্যি দিয়েছে, এগুলো না দেখলেই তো পারেন। তার মানে কি ঘুম থেকে উঠেই যি-টিভি, সিএনএন, বিবিসি, আলজাযিরার পসরা খুলে বসতে হবে? মুখে বলব ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’ আর অন্তরে মুম্বাই-কলকাতা-ওয়াশিংটন-কাতার?

২.

এই লকডাউনের দিনে সকাল বলুন আর সন্ধ্যা বলুন, বেলা ৩টা বলুন আর রাত দুপুর বলুন, টিভির চেয়ে নিত্যসঙ্গী আর কে আছে? আগে তো সকালবেলা প্রায় দৌড়াতে দৌড়াতে নাকে-মুখে কিছু একটা গুঁজে ছুটতেন অফিসের উদ্দেশে, আর না হয় নিজের ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান খুলতে। তারপর সারা দিন, কখনো কখনো গভীর রাত পর্যন্ত, জীবিকা নামক ষাঁড়টির লেজ ধরে ঝুলতে ঝুলতে, নানান কিসিমের ইঁদুর দৌড়ে শরিক হয়ে ক্লান্ত বিধ্বস্ত অবস্থায় ঘরে ফিরতেন। আর এখন? এখন এই ঘরই আপনার জীবন। বাহির হয়ে গেছে ‘আউট অব বাউন্ডস্’। এখন আর গাইতে পারবেন না, ‘যাব না, যাব না, যাব না ঘরে/বাহির করেছে আপন মোরে’। বাহির এখন আর আপনার মিত্র নয়, শত্রু। সে তার অদৃশ্য অক্ষৌহিণী সৈন্য-সামন্ত নিয়ে আপনাকে আক্রমণ করতে ওত পেতে আছে। ফলে যে-আপনি আগে স্ত্রী-পুত্র-কন্যাকে দিনে-রাতে দু’ঘণ্টা সময়ও দিতে পারতেন না, সেই আপনাকেই এখন করোনা-রাক্ষসী সুপার গ্লু দিয়ে পরিবারের সঙ্গে এমনভাবে আটকে দিয়েছে যে আপনার এখন ‘নট্ নড়ন-চড়ন-নট্ ইস্টেইট (স্ট্রেইট)-নাথিং’ অবস্থা। এখন আর আপনাকে এই অফিস, সেই অফিস, এই মিটিং তো সেই সিটিং, অমুক বড় সাহেব তো তমুক মেজো সাহেবের পায়বন্দি করে করে রাতের ঘুম আর দিনের আরাম হারাম করতে হয় না। আর আপনি নিজেই যদি বড় সাহেব-মেজো সাহেব হন তাহলে সকালে রেডিসনে ব্রেকফাস্ট, দুপুরে শেরাটনে লাঞ্চ আর রাতে সোনারগাঁওতে ডিনারের দৌড়াদৌড়ি করতে হয় না, সারাক্ষণ হাই-হ্যালো করতে হয় না দেশী-বিদেশী হোমরা চোমরাদের। সবচেয়ে বড় কথা, আপনি এখন হঠাৎ করে মিস্টার কেউকেটা থেকে বাসার আব্দুলের চাকরি পেয়ে গেছেন। আব্দুল আর মতির মা সাময়িকভাবে হলেও আপনাদের জীবন থেকে উধাও হয়ে গেছেন। ফলে যে আপনি কোনো দিন জগ থেকে ঢেলে এক গেলাস পানিও খাননি, সেই আপনিই এখন শুধু পানি ঢালা না, থালা-বাসন-গেলাস ধোয়া থেকে শুরু করে রান্নাঘর খাবার টেবিলের অনেক দায়িত্বই পালন করছেন। এমনকি মাঝে মাঝে ঘর-দুয়ার ঝাঁটও দিচ্ছেন। অবশ্য আপনার গিন্নীর তুলনায় এটা কিছুই না। বেচারিকে এখন ফুল টাইম মতির মা’র দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে, যা তিনি বা আপনি জীবনে কল্পনাও করেননি। তবুও করোনাভাইরাসের মরণছোবল থেকে বাঁচতে এটুকু পদাবনতি আপনারা বিনা প্রতিবাদে মেনে নিয়েছেন।

৩.

অফিস নেই, আদালত নেই, ব্যবসা নেই, বাণিজ্য নেই, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় নেই, নেই দু’দিন পর পর হিল্লি-দিল্লি ছুটাছুটি-দৌড়াদৌড়ি। অফিস-আদালত আর শিক্ষাঙ্গনের যাঁরা শোভাবর্ধন করতেন, তাঁরা সবাই এখন গৃহবন্দি। তাঁরা এখন স্বনির্ভর হয়ে গৃহকর্ম মোটামুটি সামাল দিচ্ছেন। কিন্তু তার পরও তাঁদের হাতে অখণ্ড অবসর। সেই অবসর কাটাতে কেউ বই পড়ছেন, কেউ ধর্মকর্মে মনোযোগী হচ্ছেন, কেউ ছেলেমেয়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ফেসবুক-ইন্টারনেটে মশগুল হয়ে আছেন। কিন্তু যে জিনিসটা উচ্চ-নীচ, মধ্যবিত্ত-স্বল্পবিত্ত সবার জীবনে এখন ‘কমন’, দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য অঙ্গ, তা হলো টিভি। আর করোনাকালে এটা তো শুধু দেশ-বিদেশের সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমই নয়, অবসর বিনোদনেরও অন্যতম প্রধান উৎস। এই আপৎকালে টিভি আমাদের সার্বক্ষণিক তথ্যাদি জানিয়ে দিচ্ছে, দেশে-বিদেশে কোথায় কতজন কভিড-১৯-এ আক্রান্ত হলো, সর্বশেষ কতজন প্রাণ হারাল, দেশবরেণ্য কে কোথায় চিরবিদায় নিলেন ইত্যাদি। বস্তুতপক্ষে টিভি এখন করোনাসংক্রান্ত সংবাদেই ভরপুর। এতে যে টিভি দর্শকরা ক্লান্তি বা বিরক্তি বোধ করছেন তা মনে করার কোনো কারণ নেই। বরং সারা দুনিয়ায় করোনা রাক্ষসী যে সংহারমূর্তিতে তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে তা জানতে, এতদসংক্রান্ত সর্বশেষ পরিস্থিতি ও করোনার গতি-প্রকৃতি সম্বন্ধে অবগত হতে সবাই উদ্গ্রীব। আমাদের টিভি চ্যানেলগুলো এ ব্যাপারে যথেষ্ট দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়ে চলেছে সন্দেহ নেই।

কিন্তু তার পাশাপাশি এও দেখি, একজন সুস্থ স্বাভাবিক দৈহিক অবয়বের যুবক একাকী সম্পূর্ণ খালি হাতে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসীকে এ্যায়সা প্যাঁদানি দিচ্ছে যে তারা বাবাগো মাগো বলে পালিয়ে কূল পাচ্ছে না। এই সম্পূর্ণ অসম যুদ্ধে সন্ত্রাসীরা বৃষ্টির মত বন্দুক-পিস্তলের গুলি ছুড়ছে, গ্রেনেড মারছে, কিন্তু মাশাল্লাহ, একটি গুলি, একটি বারুদও ওই (নায়ক) যুবকের গায়ে লাগছে না। অথচ নায়ক বাবাজির পিস্তলের প্রত্যেকটি গুলিই কোনো না কোনো ‘হারামি’কে খতম করছে। সত্যি, আল্লাহর কী কুদরত। না, না, ভুল হলো। ছবিটির পরিচালক মহোদয়ের কী কেরামত! আর সবচেয়ে তাজ্জব লাগে, নায়ক যখন দুই হাতে দুইটা গুণ্ডাকে চরকির মত ঘুরাতে ঘুরাতে শূন্যে ছুড়ে ফেলে দেয়, আর তারা শূন্যে ফুটবলের মত কয়েকটি চক্কর খেতে খেতে গিয়ে আছড়ে পড়ে পার্শ্ববর্তী কোনো সবজিবোঝাই ভ্যানগাড়ি অথবা চলন্ত ট্রাকের ওপর। আর অকুস্থলে যদি নায়িকা উপস্থিত থাকে, বিশেষ করে হাত-পা বাঁধা অবস্থায়, তাহলে তো আর কথাই নেই। নায়কের জোশ তখন দেখে কে। সে তখন ‘লাখে লাখে সৈন্য মারে কাতারে কাতার/শুমার করিয়া দেখে বিয়াল্লিশ হাজার’। এই মারামারি কখনো কখনো এত দীর্ঘস্থায়ী হয় যে সিনেমা হলের দর্শক ইচ্ছা করলে বাইরে গিয়ে চা-শিঙাড়া খেয়ে, তার ‘ইয়ের’ সঙ্গে ফোনালাপ করে, বাথরুম-টাথরুম সেরে ধীরেসুস্থে খাতিরজমা সিটে ফিরে আসতে পারে, এসে দেখবে লড়াই তখনো চলছে।… আহা, কী বাস্তবধর্মী, কী জীবননিষ্ঠ কাহিনী! কল্কেতে না জানি কত জোরে টান দিলে এমন গল্প ফাঁদা যায়।

একটা বিনীত প্রশ্ন এইসব চিত্রনির্মাতা, সেন্সর বোর্ডের প্রাজ্ঞ সদস্যবৃন্দ ও সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের কাছে : আচ্ছা, আপনারা ঠিক করে বলুন তো, এ ধরনের আজগুবি কল্পকাহিনীর তথাকথিত ‘সামাজিক’ চলচ্চিত্র নির্মাণকে কি সত্যি আপনারা উৎসাহিত করেন? যে বাংলাদেশের কৃষ্টি-সংস্কৃতি-ঐতিহ্যের কথা বলতে গিয়ে আপনারা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন, এ ধরনের ছবি কি তারই পরিচায়ক? আমি মুক্তিযুদ্ধের চিন্তা-চেতনার কথা বলব না, কারণ অনেকে বুঝে না বুঝে অহরহ ব্যবহার করায়, দুঃখের বিষয়, ওটা অনেকটা ‘ক্লিশে’ (বহু ব্যবহারে জীর্ণ) হতে চলেছে। আমি শুধু বিনীতভাবে আপনাদের বিবেকের কাছে প্রশ্নটি তুলে ধরছি। কারণ আপনারা সবাই বিবেকবান, বিজ্ঞ, প্রাজ্ঞ ও দায়িত্বশীল মানুষ। আপনারা নিশ্চয়ই চান না, কমার্শিয়াল সিনেমা বানানোর নামে কেউ দর্শকদের আফিম সেবন করাক।

৪.

আর বিজ্ঞাপনের নামে টিভির পর্দায় যে অরাজকতা দীর্ঘদিন থেকে চলে আসছে তা দেখে মনে হয় এগুলো দেখার যেন কেউ নেই। বিজ্ঞাপন যেন বাপ-মা মরা এতিম। তাকে যেমন খুশি তেমনভাবে ব্যবহার করছে একটি ‘মাসল্ পাওয়ার’। ফলে ‘নিকট ও দূরবর্তী’ পশ্চিমা দেশগুলোর অন্ধ অনুকরণে চলছে নারীদেহের অশোভন ও কখনো কখনো আপত্তিকর প্রদর্শনী। এতে সচরাচর মাল্টিন্যাশন্যাল প্রসাধনী কোম্পানিগুলোর পণ্যের মডেল হচ্ছেন মুম্বাইয়ের নামকরা চিত্রতারকারা ও মডেলকন্যারা। তাঁদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে আমাদের কোনো কোনো জনপ্রিয় চিত্রনায়িকাও এ পথে এগিয়ে এসেছেন। আমার জানতে ইচ্ছে করে, এঁরা কি কখনো ভেবে দেখেছেন এতে করে তাঁদের জনপ্রিয়তা বাড়ছে না কমছে। নারীদেহ প্রদর্শনীতে যে সুড়সুড়ানি তা হয়ত প্রেক্ষাগৃহের সামনের সারির ‘জুম্মন সিটি মার’ মার্কা দর্শকদের উদ্বেলিত করতে পারে, কিন্তু আবারও বলছি, বাঙালি কৃষ্টি-সংস্কৃতির সঙ্গে এটা যায় না।

বছর চারেক আগে একটা টুথপেস্টের বিজ্ঞাপনে দু’জন যুবক-যুবতীর আপত্তিকর যৌন আবেদনমূলক অঙ্গ সঞ্চালনের প্রতি তৎকালীন তথ্যমন্ত্রী মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলাম। সুখের বিষয়, কয়েকদিন পরেই তাঁর নির্দেশে বিজ্ঞাপনটির প্রচার বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের বর্তমান তথ্যমন্ত্রীও একজন সুরুচিপূর্ণ পণ্ডিত ব্যক্তি বলেই আমরা জানি। আশা করি, তিনিও অনতিবিলম্বে অনাবৃত নারীদেহের আপত্তিকর প্রদর্শনীমূলক বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধের নির্দেশ দেবেন।

সেই সঙ্গে অত্যন্ত কুরুচিপূর্ণ যেসব বিজ্ঞাপন দর্শকের পঞ্চেন্দ্রিয়কে দারুণভাবে আঘাত করে সেইসব টয়লেট ক্লিনিং পরিমার্জকের (ডিটারজেন্ট) বিজ্ঞাপনও টিভির পর্দায় প্রচার অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত। একটি বিজ্ঞাপনে দেখা যায় দু’টি ছোট শিশু, সম্ভবত ভাই-বোন, টয়লেটের দরজায় দাঁড়িয়ে দুর্গন্ধে নাক-মুখ ফুলিয়ে দুই আঙুলে নাক টিপে ধরে দাঁড়িয়ে আছে। দর্শকরা তখন ক্লোজ-আপে বড় করে দেখতে পাচ্ছেন সেই টয়লেটের প্যান-কমোডের বিশ্রী ডিটেলসম্বলিত ছবি, যা দেখে যে কোনো সুস্থ রুচির মানুষ তত্ক্ষণাৎ টিভির পর্দা থেকে দৃষ্টি সরিয়ে নেবেন। আর মনে মনে ওই বিজ্ঞাপন নির্মাতাদের ও টিভি চ্যানেলের মুণ্ডুপাত করবেন। এর চেয়েও আপত্তিকর বিজ্ঞাপনচিত্রটির পরের দৃশ্য, যেখানে দেখানো হয় ওই দু’টি বালক-বালিকা টয়লেটের দরজায় দাঁড়িয়ে হাসিমুখে উত্ফুল্লচিত্তে জোরে জোরে নিঃশ্বাস টানছে, বোঝাতে চাইছে, ডিটারজেন্টটি ব্যবহারের পর প্যান-কমোডটি থেকে সুগন্ধ ছড়াচ্ছে।… জানি না, নির্মাতারা কি তাঁদের বাসার কমোড পরিষ্কার করে এভাবে নিঃশ্বাস নিয়ে সুগন্ধ গ্রহণ করেন কি না!

এইসব কুরুচিপূর্ণ এবং নারীদেহ প্রদর্শনীমূলক বিজ্ঞাপন এখনো টিভির পর্দায়ই সীমাবব্ধ। ভাগ্যিস, সংবাদপত্রের পাতায় এখনো এদের প্রাদুর্ভাব ঘটেনি। যদি ঘটে তবে সেটা হবে সর্বনাশের মাথায় বাড়ি।

শেষ করার আগে আবারও সহৃদয় কর্তৃপক্ষকে সনির্বন্ধ অনুরোধ করব, আজগুবি চলচ্চিত্র ও কুরুচিপূর্ণ বিজ্ঞাপনের যন্ত্রণা থেকে দর্শকদের মুক্তি দিন। বিশেষ করে, নবীন প্রজন্মকে।

লেখক : সাবেক সচিব, কবি

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com