ধর্মের কারণে অত্যাচারিত হয়ে দেশ ছাড়তে হয়েছে মানুষগুলোকে। পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠরা তাদের ওপর নির্যাতন করেছে। সরকারও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। পাকিস্তানে হিন্দুদের দুর্দশার কথা কারও অজানা নয়। এদের মধ্যেই অনেকে পালিয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছেন ভারতে। কিন্তু এই মহামারী আর লকডাউনে কাজ হারিয়ে তাদের চরম সংকটে দিন কাটাতে হচ্ছে। এমন সময় তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন ভারতের তারকা ওপেনার শিখর ধাওয়ান।
হিন্দু উদ্বাস্তু শিশু-কিশোরদের হাতে তুলে দিলেন ক্রিকেট কিটস। নয়াদিল্লির মজলিস পার্কে মেট্রো স্টেশনের কাছে আদর্শ নগরে হিন্দু উদ্বাস্তু শিবিরে তাদের অবস্থান। করোনায় লকডাউনের কারণে চরম দুর্দশার মধ্যে পড়ে গেছেন এই উদ্বাস্তুরা। বিভিন্ন সময় তাদের সাহায্য-সহযোগিতা করে যাচ্ছিলেন ভারতীয়রা।
আদর্শ নগরে ওই হিন্দু উদ্বাস্তু কলোনিতে তাই হঠাৎ শিখর ধাওয়ানের উপস্থিতি চমক জাগানিয়া ছিল। সেখানে তাকে সাদর অভ্যর্থনা জানানো হয়। শিশু-কিশোরদের হাতে কেবল ক্রিকেট কিটস তুলে দেওয়াই নয়, উদ্বাস্তু শিবিরের সবাইকে সাহায্যের উদ্দেশ্য নিয়েই সেখানে যান ধাওয়ান। শিবিরের নারীদের মডিউলার টয়লেট উপহার দেন তিনি।
বেশ কিছুক্ষণ উদ্বাস্তু শিবিরের মানুষের সঙ্গে সময় কাটান। শরণার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। যারা বসতিতে বসবাস করছেন, তাদের জন্য বিছানাও নিয়ে যান। সেখানকার কয়েকটি শিশুর সঙ্গেও কথা বলতে দেখা যায় শিখরকে। সেখান থেকে ফেরার আগে ওই শিশুদের ‘মহার্ঘ’ উপহার দিয়ে আসেন ধাওয়ান।
দিল্লির মজলিশ পার্ক এলাকার ওই মহল্লায় অনেক দিন ধরেই শরণার্থী হিন্দুদের বাস। দিল্লির একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তাদের দেখাশোনা করে। সেই সংগঠনের সঙ্গে ধাওয়ানের এক বন্ধুও যুক্ত। সেই বন্ধুর থেকেই অনুপ্রেরণা নিয়েছেন ধাওয়ান।
তিনি বলছিলেন, ‘আমার বন্ধু ওই শরণার্থী শিবিরে বহুদিন ধরে কাজ করছে। তারা ওখানে টয়লেট তৈরি করেছে। তাই আমিও ভাবলাম যদি ওদের জন্য কিছু করা যায়!’ ধাওয়ান বললেন, ‘আমি নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে করছি, যে আমি ওদের জন্য কিছু অন্তত করতে পারছি।’
টুইটারে এ প্রসঙ্গে ধাওযান লেখেন, ‘মজলিস পার্ক মেট্রো স্টেশনের কাছে বসবাসকারী উদ্বাস্তুদের সঙ্গে দারুণ কাটল সকালটা। ওরা যেভাবে আমাকে সেখানে অভ্যর্থনা জানিয়েছে, তাতে আমি ভীষণভাবে কৃতজ্ঞ।’ সোশ্যাল মিডিয়ায় উদ্বাস্তু শিবিরে মানুষের সঙ্গে কাটানো মুহূর্তের ছবিও পোস্ট করেছেন ধাওয়ান। ভারতীয় ক্রিকেটারের সঙ্গে সময় কাটাতে পেরে খুশি উদ্বাস্তু শিবিরের মানুষরা।