করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় হোমিওপ্যাথি ওষুধ যথেষ্ট কার্যকর বলে গবেষকরা মত দিয়েছেন। হোমিওপ্যাথি একটি লক্ষণভিত্তিক চিকিৎসা পদ্ধতি। ডা. স্যামুয়েল হ্যানিম্যান ১৭৯৬ খ্রিস্টাব্দে এ চিকিৎসা পদ্ধতি প্রবর্তন করেন এবং ১৮০৫ খ্রিস্টাব্দ থেকে তিনি সফলতার সঙ্গে এ চিকিৎসাকার্য পরিচালনা করেন। লক্ষণভিত্তিক চিকিৎসা পদ্ধতি হওয়ায় রোগের লক্ষণ অনুযায়ী সদৃশ ওষুধ প্রয়োগ করে যে কোনো রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
যুগে যুগে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মহামারীতে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার সাফল্যগাথা রয়েছে। ১৭৯৯ সালে জার্মানিতে স্কারলেট ফিভার মহামারীতে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার মাধ্যমে ড. হ্যানিম্যান সফলতা পেয়েছিলেন। ১৮১৩ সালে টাইফাস ফিভার মহামারিতে হোমিও চিকিৎসায় মৃত্যুহার ছিল ১.১১ শতাংশ, যেখানে অন্যান্য চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুহার ছিল ৩০ শতাংশ।
এ ছাড়া ১৮৩১ সালে অস্ট্রিয়ায় কলেরা মহামারী, ১৮৪৯ সালে সিনসিনাটির কলেরা মহামারী, ১৮৫৪ সালে লন্ডনের কলেরা মহামারী, ১৮৬২-১৮৬৪ পর্যন্ত নিউইয়র্কে ডিপথেরিয়া, ১৯১৮ সালে স্প্যানিশ ফ্লু, ২০১৮-২০১৯ সালে বাংলাদেশে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়াসহ আরও মহামারীতে হোমিও চিকিৎসার উল্লেখযোগ্য সফলতা রয়েছে। ইতোমধ্যে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও এ ওষুধ প্রয়োগে সফলতা পেয়েছে বলে জানা যায়। তবে ওষুধ সেবনে অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো।