করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতেও গত এক মাসে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। শহরজুড়ে অপরাধ বেড়ে গেছে। বিভিন্ন জায়গায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে। এই অবস্থায় সেখানে গত তিনদিনে ১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। এ ছাড়া ৬৪ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
নিউইয়র্কের স্থানীয় পত্রিকাগুলো জানিয়েছে, গতকাল সোমবার শহরের ব্রঙ্কসে শিশুসহ রাস্তা পারাপারের সময় এনথনি রবিনসন নামে এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হন। সন্তানকে বাঁচাতে পারলেও বাবা মারা যান। এ ঘটনায় কাউকে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার সম্ভব হয়নি। নিউইয়র্ক পুলিশ এ ঘটনার তদন্ত করছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, হামলাকারীর মুখ ঢাকা ছিল। সে ফাঁকা গুলি করে ওই জায়গায় থেকে পালিয়ে যায়। শহরে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। গত তিনদিনে গুলিতেই মারা গেছেন ১০ জন। বিভিন্ন হাসপাতালে ৬৪ জন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ভর্তি হয়েছে।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালের পর প্রথমবারের মতো নিউইয়র্ক শহরের বিভিন্ন স্থানে ৪০০টির মতো গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে। গতমাসেও প্রায় পাঁচশ’র মতো গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে। শিকাগোতে গত ২ জুলাই পর্যন্ত ৩৩৬টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া নিউইয়র্কে জুনের শেষে ১৮১ জুন খুন হয়েছে।
এ অবস্থায় শহরের মেয়র বিল ডি ব্লাজিও এবং নিউইয়র্ক পুলিশ কর্মকর্তাদের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে বলে মনে করছে নিউইয়র্ক টাইমস। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার মেয়র এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, নগরীতে গোলাগুলির ঘটনাটি বেশ কয়েকটি কারণে হয়েছে। মূলত গত চারমাস ধরে ঘটে যাওয়া ঘটনা করোনাভাইরাস এর জন্য দায়ী। পুলিশ-আদালত ঠিকমতো কাজ করতে পারছে না।
অপরদিকে নিউইয়র্ক পুলিশ বলছে, সহিংসতা বৃদ্ধির কারণ হিসেবে বর্তমান পরিকল্পনাকে দায়ী করছে। এ ছাড়া আইনজীবী ও প্রসিকিউটররা গত কয়েক বছরে কার্যকর হওয়া ফৌজদারি বিচার সংস্কারের জন্য দায়ী করেছেন।