করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে মাস্ক পরা নিয়ে অবস্থান পাল্টেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সবাইকে মাস্ক পরতে বলেছেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার করোনাভাইরাস প্রসঙ্গ নিয়ে হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে এসে মাস্ক পরার পক্ষে প্রচার চালান ট্রাম্প।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা সবাইকে বলছি যে, আপনারা যখন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে পারবেন না তখন মাস্ক পরুন, মাস্ক কিনুন। আপনাদের পছন্দ হোক বা না হোক, মাস্ক পরার কার্যকারিতা আছে। ফলে সংক্রমণ ঠেকাতে আমাদের সম্ভাব্য সবকিছুই করতে হবে।’
ট্রাম্প জানান, তিনি মাস্ক ব্যবহারে অভ্যস্ত হচ্ছেন এবং কয়েকজনের সঙ্গে থাকলে বা লিফটে থাকলে মাস্ক পরবেন। বলেন, আমি গর্বের সঙ্গেই ব্যবহার করব। সম্ভাব্য যা কিছুই সহযোগিতা করবে তা ভালো।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর আগে ১৭ জুলাই ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, জাতীয়ভাবে মাস্ক বাধ্যতামূলক করার পক্ষপাতী নন তিনি। জনগণকে জোর করে হলেও মাস্ক পরানোর পদক্ষেপ নিতে মার্কিন সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফাউচির আহ্বানের পর এমন মন্তব্য করেন তিনি।
করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে একাধিক বার ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি মাস্ক পরবেন না। এমনকি মাস্ক পরার জন্য ডেমোক্র্যাট প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনকে নিয়েও ব্যঙ্গ করেছেন তিনি। তবে সম্প্রতি আগের অবস্থান থেকে কিছুটা সরে আসেন ট্রাম্প। ওয়াশিংটনের বাইরে ওয়াল্টার রিড সামরিক হাসপাতাল পরিদর্শনে প্রথমবারের মতো মাস্ক পরতে দেখা যায় তাকে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মাঝে কিছুটা স্তিমিত হলেও এখন বেড়েই চলেছে। এ নিয়ে টানা আট দিনে ৬০ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশটি। গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৮ হাজারের বেশি মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে দেশটিতে ।
পরিসংখ্যান সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪০ লাখ ২৮ হাজার ছাড়িয়েছে। যা বিশ্বের মোট আক্রান্তের প্রায় এক-চতুর্থাংশ। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে প্রায় এক লাখ ৪৫ হাজার মানুষের। সুস্থ হয়েছে ১৮ লাখ ৮৬ হাজার মানুষ।