আগামী ২৯ জুলাই (বুধবার) পুরো এক বছরের মুদ্রানীতি ঘোষণা করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে এটি হবে অন্যান্য বছরের তুলনায় ভিন্ন। ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রাগুলো প্রকাশ করা হবে বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বাজারে নগদ অর্থের প্রবাহ কেমন থাকবে, কতটা ঋণ দেয়া হবে উদ্যোক্তাদের এবং ব্যাংক থেকে কী পরিমাণ ঋণ নেবে সরকার তার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় মুদ্রানীতির মাধ্যমে। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সম্প্রসারণ মূলক মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হবে বলে আশা অর্থনীতিবিদদের। তবে ব্যাংকাররা বলছেন ঋণের বিপরীতে গ্যারান্টি স্কিম চালু করা অত্যন্ত জরুরি। কারণ সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের সিংহভাগই ব্যাংক নির্ভর।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, অর্থনীতিতে চাহিদা বাড়াতে সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক এরই মধ্যে নানা কর্মসূচি নিয়েছে। বিশেষ করে প্রণোদনার মাধ্যমে ক্ষুদ্র, মাঝারি, বড় সব ধরনের শিল্প, কৃষিসহ সব পর্যায়ে উৎপাদন ঠিক রাখতে ঋণ জোগান বাড়ানোর লক্ষ্যে নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক গত অর্থবছরের মুদ্রানীতির মাধ্যমে বেসরকারি খাতে ১৪ দশমিক ৮০ শতাংশ ঋণ বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল। তবে অর্জিত হয়েছে মাত্র ৮ দশমিক ৬১ শতাংশ। এ হার যে শুধু করোনা ভাইরাসের প্রভাবে কমেছে, তা নয়। গত অর্থবছরের শুরু থেকেই ঋণ প্রবৃদ্ধিও ছিল কমতির দিকে। সরকার নির্ধারিত ৮ দশমিক ২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি এবং মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৫০ শতাংশে পরিমিতি রাখার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছিল। তবে করোনার কারণে অর্থবছরের শেষ তিন মাসে অর্থনীতি বিপর্যস্ত হয়ে পড়ায় গত অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হয়নি। সরকার পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য সংশোধন করে নির্ধারণ করেছে ৫ দশমিক ২০ শতাংশ।