মানব ও অর্থ পাচার এবং ভিসা বাণিজ্যের অভিযোগে কুয়েতে গ্রেপ্তার লক্ষ্মীপুরের সংসদ সদস্য মো. শহীদ ইসলাম ওরফে কাজী পাপুলের আটকাদেশ আরও এক মাস বেড়েছে। কুয়েতে গত ৬ জুন আটকের পর থেকে এ নিয়ে পাঁচবার পাপুলের আটকাদেশ বাড়ানো হলো।
গতকাল রোববার সকালে কুয়েতের সুপ্রিম কোর্টে আটকাদেশ পুনর্বিবেচনাবিষয়ক বিচারকের চেম্বারে হাজির করা হলে বিচারক তাকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কারাগারে রাখার নির্দেশ দেন। কুয়েতের আরবি দৈনিক আল কাবাস এ খবর জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, গতকাল আদালত পাপুলের পাশাপাশি কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রশিক্ষণবিষয়ক সহকারী আন্ডার সেক্রেটারি মেজর জেনারেল শেখ মাজন আল-জারাহ এবং অন্য দুই কুয়েতি নাগরিক হাসান আবদুল্লাহ আল খাদের ও নওয়াফ আলী আল শালাহিকেও আটকাদেশ পুনর্বিচেনাবিষয়ক বিচারের চেম্বারে হাজির করা হয়। এ সময় বিচারক অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মুক্তি দিতে অপারগতা জানিয়ে উল্টো আটকাদেশের মেয়াদ বাড়ান।
কুয়েতে মানবপাচার ও অর্থ আত্মসাতের দায়ে ৬ জুন লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য পাপুলকে গ্রেপ্তার করে দেশটির পুলিশ। এরপর ২৪ জুন পর্যন্ত ২১ দিনের রিমান্ড শেষে তাকে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
পাপলুকে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে তাকে সহায়তাকারী দুই কুয়েতি এমপির নাম। এর মধ্যে পাপুলর সঙ্গে অবৈধ লেনদেনে জড়িত থাকায় এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে বহিষ্কার করে কুয়েত।
এ ছাড়া দেশটির সমাজকল্যাণ বিষয়ক মন্ত্রী এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা মারিয়াম আল আকিল, মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে জনসম্পদ বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে তিন মাসের জন্য সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দেন।