নিউইয়র্কে বাংলাদেশী অধ্যুষিত জ্যামাইকার হিলসাইড এভিনিউতে প্রতিষ্ঠিত স্টার কাবাব এন্ড চাইনিজ রেষ্টুরেন্ট আবার নতুন ব্যবস্থাপনায় চালু হয়েছে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) অপরাহ্ন থেকে রেষ্টুরেন্টটি চালু করা হয়। এর আগে বেলা ১২টার দিকে আয়োজন ছিলো বর্ণাঢ্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। এই পর্বের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত, দরুদ (সা:) পাঠ এবং বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের খতিব ও ইমাম মওলানা মির্জা আবু জাফর বেগ। পরবর্তীতে ফিতা কেটে নতুন ব্যবস্থাপনায় স্টার কাবাব এন্ড চাইনিজ রেষ্টুরেন্ট-এর আনুষ্ঠাকি উদ্বোধন করেন সাবেক এমপি ও ঠিকানা গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এম শাহীন। এসময় সাপ্তাহিক বাংলাদেশ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদ এ খান, রেষ্টুরেন্টটির সিইও জামান চৌধুরী সহ বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ইমরান খান ভুলু, শিবলী নোমানী, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিষ্ট নূর ইসলাম বর্ষণ, জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশী বিজনেস এসোসিয়েশন (জেবিবিএ)-এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক তারেক হাসান খান, জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও প্রবীণ আমেরিকান, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ (জুনিয়র)-এর বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের ক্লাসমেট জর্জ কাপুস সহ কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মধ্যে মোর্শেদ আলম, মোতাহার হোসেন, ফরহাদ হোসেন, হাবিবুল হক, মোহর খান, সঙ্গীত শিল্পী ডা. নার্গিস রহমান ও জিনাত আরা রতœা প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে যোগদানকারীরা রেষ্টুরেন্টটির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন। এসময় শতাধিক অতিথির মাঝে প্যাকেট বিরিয়ানী বিতরণ করা হয়।
নতুন করে রেষ্টুরেন্টটি উদ্বোধনের পর সিইও জামান চৌধুরী ইউএনএ প্রতিনিধিকে জানান, জ্যামাইকায় বসবাসকারীদের চাহিদা ও সেবার কথা বিবেচনা করে বিশেষ করে প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্য নতুন ব্যবস্থপনায় স্টার কাবাব এন্ড চাইনিজ রেষ্টুরেন্ট আবার চালু করা হয়েছে। মজাদার দেশী ও চাইনিজ খাবার তৈরীর জন্য দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন দুইজন শেফ সহ আরো কয়েকজন শেফ নিয়োগ নেয়া হয়েছেন। এরমধ্যে ৪০ বছরের অভিজ্ঞ শেফ মোহাম্মদ আলী বাংলাদেশী খাবারের জন্য বিশেষজ্ঞ আর ৩৫ বছরের অভিজ্ঞ শেফ নাসির উদ্দিন বাংলাদেশী স্বাদের চাইনিজ খাবার তৈরীতে বিশেষজ্ঞ। তিনি জানান, চিকেন আর ফিস কাবাব গ্রীল থাকবে তার রেষ্টুরেন্টের বিশেষ আকর্ষণ। এছাড়াও চা-সিঙ্গারা, সমচা, ডাল পুরি, পিয়াজো, মগলাই পরটা সহ বিরিয়ানী, খিচুরী, মাছ-মাংস, ভাজি-ভর্তা সহ থাকবে সকল প্রকার মুখরোচক খাবারের সমাহার। সকালের নাস্তা, দুপুরের লাঞ্চ আর রাতের ডিনারের জন্য সুলভ মূল্যেই এসব খাদ্যসমাগ্রী বিক্রি করা হবে বলে তিনি জানান।
জামান চৌধুরী জানান, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে এখন শুধু ‘টেক আউট’ পদ্ধতিতে সকল খাবার বিক্রি করা হবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত রেষ্টুরেন্টটি খোলা থাকবে। ২০ জনের অধিক লোকের খাবারের জন্য থাকবে ক্যাটারিং ব্যবস্থা।