নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে চীনের তৈরি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন। চীনের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) এক কর্মকর্তার বরাতে আজ মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
সিডিসি’র জৈব নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান গুইঝেন উ সোমবার এক সাক্ষাৎকারে জানান, করোনা প্রতিরোধে এ পর্যন্ত চারটি ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়াল চালাচ্ছে চীন। এরই মধ্যে দুটি ভ্যাকসিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। ভ্যাকসিন দুটিকে জরুরি ভিত্তিতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
গুইঝেন উ জানান, গত এপ্রিলে প্রথম দফার ট্রায়াল চলাকালীন তিনি নিজেও সম্ভাব্য করোনা ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন। এখনো পর্যন্ত কোনো ধরনের অস্বাভাবিক উপসর্গ তার মধ্যে দেখা যায়নি। তবে কোন সংস্থার তৈরি ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে তিনি অংশ নিয়েছিলেন তা নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানাতে রাজি হননি গুইঝেন উ।
এ বিশেষজ্ঞ আরও জানান, করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে বিশ্বে গবেষণায় এগিয়ে আছে চীন। বিশ্বজুড়ে এখন এ রকম নয়টি ভ্যাকসিনের তৃতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা চলছে। এই নয় ভ্যাকসিনের মধ্যে পাঁচটিই চীনের আবিষ্কার।
উল্লেখ্য, চিনের রাষ্ট্রায়ত্ত ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা চিনা ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল গ্রুপ (সিনোফার্ম) এবং সিনোভ্যাক বায়োটেক মোট তিনটি ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করছে। গত জুনে চীনের সামরিক বাহিনীর সদস্যদের ব্যবহারের জন্য ক্যানসিনো বায়োলিজিকসের ভ্যাকসিনও অনুমোদন দিয়েছে চীন সরকার।