করোনা ভাইরাসে দুই লাখের বেশি মার্কিন নাগরিকের মৃত্যুর ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর দোষ চাপিয়েছেন আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট দলের প্রার্থী জো বাইডেন। করোনায় সরাসরি ব্যর্থতার দায়ভার কাঁধে নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
করোনা ভাইরাসে সবচেয়ে বিপর্যস্ত দেশের নাম যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির ৫০টি অঙ্গরাজ্যেই করোনার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। শুধু সংক্রমণেই নয়, মৃত্যুতেও সব দেশকে ছাড়িয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬৯ লাখ ৬৭ হাজার ৪০৩। এর মধ্যে মারা গেছে ২ লাখ ৩ হাজার ৮২৪ জন।
যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছে ৪২ লাখ ২৩ হাজার ৬৯৩ জন। বর্তমানে সেখানে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ২৫ লাখ ৩৯ হাজার ৮৮৬ জন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে ১৪ হাজার ৮৪ জন।
বাইডেন বলেন, করোনা ভাইরাসকে সামাল দিতে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে ট্রাম্পের উচিত পদত্যাগ করা। শুক্রবার পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যে এক নির্বাচনী সভায় তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রতিটি মৃত্যুর জন্যই দায়ী ট্রাম্প।’
সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যদি শুরু থেকেই তার দায়িত্ব পালন করতেন তা হলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এত মৃত্যু হতো না। তিনি অভিযোগ করে বলেন, শেয়ারবাজার ও নির্বাচন ছাড়া ট্রাম্পের আর কোনো কিছু নিয়ে মাথাব্যথা নেই। কাজেই এমন এক ব্যক্তির প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনের যোগ্যতা নেই।
যুক্তরাষ্ট্রে টানা কয়েক সপ্তাহ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা কম থাকার পর গত সপ্তাহ থেকে আবারও বেড়ে গেছে। প্রথম থেকেই করোনা পরিস্থিতিকে খুব একটা গুরুত্ব দেননি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সে কারণেই সংক্রমণ দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়েছে।
ট্রাম্প প্রথম দিকে করোনা ভাইরাসকে পাত্তাই দিতে চাননি। এমনকি বহুদিন পর্যন্ত করোনার সাধারণ স্বাস্থ্যবিধির অংশ হিসেবে প্রকাশ্যে মুখোশও পরেননি। এ ছাড়া করোনার বিজ্ঞান নিয়েও অবৈজ্ঞানিক ও হাস্যকর যুক্তি ও কথাবার্তা তাকে একাধিকবার বলতে দেখা গেছে। শুধু জো বাইডেন নন, অনেকেই মনে করেন- ট্রাম্প ও তার প্রশাসন প্রথম থেকেই গুরুত্ব দিয়ে পদক্ষেপ নিলে যুক্তরাষ্ট্রে বহু প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হতো।