ক্যান্সার চিকিৎসা পদ্ধতির জন্য ফটোইমিউনোথেরাপি নামের নতুন এক ধরনের ওষুধ প্রথমবারের মতো জাপান সরকারের অনুমোদন লাভ করেছে। জাপান সরকার মস্তিষ্ক এবং ঘাড়ের কান্সারের চিকিৎসায় এই ওষুধের ব্যবহার গত সপ্তাহে অনুমোদন করে যেগুলো অন্য পদ্ধতি দিয়ে চিকিৎসা করা কষ্টসাধ্য। মস্তিষ্ক এবং ঘাড়ের ক্যান্সারের মধ্যে মুখ গহ্বর, গলা, নাসিকা গহ্বর এবং অন্য ক্যান্সার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
ওই ওষুধের উন্নয়নকারক কোম্পানি রাকুতেন মেডিকেল এবং এই পদ্ধতির উদ্ভাবক মার্কিন জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের জাপানি গবেষক কোবাইয়াশি হিসাতাকা মঙ্গলবার টোকিও’তে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
ফটোইমিউনোথেরাপিতে একটি ওষুধের এক মিশ্রণের দরকার হয়, যা ক্যান্সার কোষকে লক্ষ্য হিসেবে নেওয়া অ্যান্টিবডি এবং আলোর সঙ্গে বিক্রিয়া করা রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে থাকে।
ওই ওষুধ শিরার ভিতরে প্রবেশ করানো হয় এবং রোগীর শরীর যখন প্রায়-অবলোহিত লেজার আলো দিয়ে আলোকিত করা হয়, তখন এটি সক্রিয় হয়ে ক্যান্সার কোষকে মেরে ফেলে।
জাপানি গবেষক কোবাইয়াশি হিসাতাকা জানান, তিনি অত্যন্ত আনন্দিত যে, দশকের পর দশক ধরে তিনি যে পদ্ধতি নিয়ে কাজ করছেন, সেটি জাপানে অনুমোদিত হয়েছে। তিনি আশা করছেন, এটি ক্যান্সারের চিকিৎসায় আরেকটি বিকল্প পদ্ধতি হবে।
রাকুতেন মেডিকেলের চেয়ারম্যান মিকিতানি হিরোশি জানান, তিনি মনে করছেন এই পদ্ধতিকে কেমোথেরাপি’র সাথে সমন্বয় করা যাবে। যত দ্রুত সম্ভব রোগীদের চিকিৎসায় এটির ব্যবহারের প্রত্যাশা তিনি করছেন।