করোনাভাইরাসের অর্থনৈতিক প্রভাব মোকাবিলায় বিদেশি লেনদেন সংক্রান্ত নীতিমালায় দেওয়া বিভিন্ন ছাড়ের মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত জীবন রক্ষাকারী ওষুধ ও চিকিৎসাসামগ্রী আমদানির ক্ষেত্রে বিদেশি ব্যাংকের পাওনা পরিশোধে রিপেমেন্ট গ্যারান্টি অথবা বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়াই ৫ লাখ ডলার পর্যন্ত অগ্রিম আমদানি মূল্য বিদেশে পাঠানো যাবে। গত সেপ্টেম্বরে এই সুবিধার মেয়াদ শেষ হয়।
ব্যবসায়ীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল মঙ্গলবার এই ছাড়ের মেয়াদ বাড়িয়ে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এতে বলা হয়, উৎপাদনের কাঁচামাল, কৃষি উপকরণ ও রাসায়নিক সার আমদানির ক্ষেত্রে বাকিতে মূল্য পরিশোধের জন্য আমদানিকারকেরা আবারও ৩৬০ দিন সময় পাবেন, যা আগে ছিল ১৮০ দিন।
এ ছাড়া জীবন রক্ষাকারী ওষুধ আমদানির মূল্য বাকিতে পরিশোধের জন্য সর্বোচ্চ সময় বাড়িয়ে আবারও ১৮০ দিন করা হয়েছে, যা ছিল ৯০ দিন। কোনো ব্যবসায়ী রপ্তানি মূল্য থেকে উপকরণ আমদানির মূল্য পরিশোধ করতে চাইলে (ব্যাক টু ব্যাক বা ইউজেন্স) তাকে আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত ঋণপত্র খোলার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বৈদেশিক মুদ্রায় অভ্যন্তরীণ ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্রের আওতায় কাঁচামাল সরবরাহের বিপরীতে পরিশোধ কার্যক্রম বাংলাদেশ ব্যাংকে পরিচালিত বিদেশি মুদ্রায় নিকাশ (এফসি ক্লিয়ারিং) হিসাবের মাধ্যমে নিষ্পত্তির নির্দেশনা শিথিল করে ব্যাংকের যেসব শাখায় বিদেশি মুদ্রায় লেনদেন হয়, সেসব অনুমোদিত ডিলার শাখার নস্ট্রো হিসাবের মাধ্যমে সম্পাদনের সুযোগও দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
একই দিন অন্য একটি প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাইরের দেশের পণ্য সরবরাহকারীর কাছ থেকে পাওয়া ঋণসুবিধার (সাপ্লায়ার্স/বায়ার্স ক্রেডিট) আওতায় চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে খোলা ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্রের দায় পরিশোধের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের আওতায় ছয় মাসের জন্য পুনঃ অর্থায়নসুবিধা দেওয়া হবে। অপর আরেকটি প্রজ্ঞাপনে সাপ্লায়ার্স বা বায়ার্স ক্রেডিটের আওতায় আমদানির ক্ষেত্রে প্রতি তিন মাস ভিত্তিতে দায় পরিশোধের ব্যবস্থা পুরোপুরি প্রত্যাহার করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।