হেলমেট ক্রিকেটারদের জীবনের ঝুঁকি কমায়। ভাল হেলমেট বড়সড় চোট-আঘাত থেকে ব্যাটসম্যান-এর মাথা রক্ষা করতে পারে। কিন্তু তিনি এ কেমন হেলমেট পরলেন! এই হেলমেট তো চোটের ঝুঁকি কমায় না। এই হেলমেট স্রেফ মাথায় উপরের অংশ বাঁচাতে পারে। মুখ, চোখে তো বল লাগার সম্ভাবনা প্রবল।
পাকিস্তানের ক্রিকেটার শাহিদ আফ্রিদি হয়তো নিজেকে সাহসী বলে প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি আসলে বোকার মতো নিজের জীবনই ঝুঁকির মধ্যে ফেললেন। আর তাই নিয়ে আলোচনাও হল প্রচুর।
পাকিস্তান সুপার লিগের প্লে অফ ম্যাচ শেষে আফ্রিদির সেই অদ্ভুত হেলমেট নিয়ে বিস্তর আলোচনা হল। মুলতান সুলতানস বনাম করাচি কিংসের ম্যাচ হচ্ছিল। করাচির বিরুদ্ধে মাঠে নেমেই মারমুখী হন আফ্রিদি। তবে তার সেই তেজ বেশিক্ষণ টেকেনি।
আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে শুরু করলেও তিনি ১২ বলে ১২ রান করেই আউট হয়ে যান। তার ব্যাটিং নিয়ে এদিন আলোচনা হয়নি। তবে হেলমেটের জন্য আফ্রিদি স্পটলাইট-এ ছিলেন। তার সেই হেলমেট-এর গ্রিল-এর টপ বার ছিল না। ফলে মুখের অংশের পুরোটাই প্রায় ফাঁকা। হঠাৎ উঠে আসা বল সহজেই আঘাত হানতে পারত তার মুখে। যদিও আফ্রিদির কপাল ভাল ছিল। তাকে কোনো বাউন্সার এদিন ফেস করতে হয়নি। না হলে কী যে হত বলা মুশকিল!
ক্রিকেটাররা এখন নিরাপত্তার বিষয়ে আগের থেকে অনেক বেশি সচেতন। বিশেষ করে অজি ক্রিকেটার ফিল হিউজেসের মাথায় বল লেগে প্রাণ হারানোর পর থেকে সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন অনেক ক্রিকেটারই বিশেষ ধরণের হেলমেট পরে খেলেন। সেই হেলমেট ঘাড়ের কিছুটা অংশ পর্যন্ত ঢেকে দেয়। ফলে সুরক্ষা নিশ্চিত হয় আরো কিছুটা।
কিন্তু আফ্রিদি উল্টো কাজ করলেন। তিনি এমন হেলমেট পরলেন যাতে সুরক্ষার নিশ্চয়তা অনেকটাই কম। কয়েক মাস আগে এমনই একটি হেলমেট পরে নেমেছিলন দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি জন্টি রোডস।
এদিন তিনি জানান, ”নিরাপত্তার কারণে আর কখনো ওই হেলমেট পরিনি। টপ বার-এর জন্য আমার দেখতে অসুবিধআ হয়। তাই ওই হেলমেট বেছে নিয়েছিলাম। কিন্তু পরে দেখলাম, ওই হেলমেট একেবারেই সুরক্ষিত নয়।”
সূত্র : জিনিউজ