যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা নতুন মাইলফলক ছুঁয়েছে। বুধবারে দেশটিতে মৃত্যুর সংখ্যা আড়াই লাখ ছাড়িয়েছে।
মহামারী সংক্রমণ হারের উল্লম্ফনের কথা উল্লেখ করে নিউইয়র্কের সরকারি স্কুল ব্যবস্থার শ্রেণিকক্ষে দেয়া নির্দেশনা স্থগিত করা হয়েছে।
রাজ্যটির সব স্কুল বন্ধ ও বাড়িতে বসে ভার্চ্যুয়াল শিক্ষায় ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বৃহস্পতিবার থেকে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য মিলেছে।
আর এমন সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের এই সিদ্ধান্ত এসেছে, যখন কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে সামাজিক ও অর্থনৈতিক জীবনে ব্যাপকে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে করোনার বিস্তার আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। হাসপাতালগুলোতে রোগীদের ভিড় অসহনীয় পর্যায়ে চলে যাচ্ছে।
আট মাস পর নিউইয়র্ক শহর মহামারীর অন্যতম কেন্দ্রভূমিতে পরিণত হওয়ার পর সেখানকার হাসপাতালগুলো রোগীতে ভরে গেছে। আর রাস্তাঘাটে মানুষের তৎপরতা শূন্যে নেমে এসেছে।
তবে জনস্বাস্থ্য সংকটের কেন্দ্রস্থল পরিবর্তন হয়ে আপার মিডওয়েস্টের দিকে চলে গেছে।
মিনেসোটার সব রেস্তোরাঁ, বার, ব্যায়ামাগার ও বিনোদন কেন্দ্রগুলো বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছেন গভর্নর টিম ওয়ালজ। আগামী চার সপ্তাহের জন্য সব ধরনের যুব ক্রীড়া অনুষ্ঠানও বাতিল করা হয়েছে।
অঞ্চলটিতে জনপ্রতি সর্বোচ্চ আক্রান্তের হার পিছু ছাড়ছে না। রাজ্যের পূর্বাঞ্চলীয় অর্ধেকটায় হাসপাতালের ৯০ শতাংশের বেশি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র রোগীদের দখলে চলে গেছে।
সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে ওয়ালজ বলেন, আমরা মহামারীর এক বিপজ্জনক পর্যায়ে আছি।
নিউইয়র্কের স্কুল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন সেখানকার মেয়র বিল ডি ব্লাসিও। টুইটারে ঘোষণার এই পোস্ট দেয়ার পর শিক্ষকদের জন্য তা স্বস্তি নিয়ে এসেছে। স্কুল খোলা রাখলে অতিসংক্রামক করোনা মহামারীর ঝুঁকি নিয়ে তাদের অনেকেই দুশ্চিন্তায় ছিলেন।
কিন্তু কর্মজীবী বাবা-মায়েদের জন্য এতে নতুন করে কষ্ট নিয়ে আসবে। বুধবার আক্রান্তে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ৫০ হাজার ১৬ জন।
মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত এক কোটি ১৫ লাখ মানুষ ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে এক হাজার ৪০০ জনের।
রয়টার্সের হিসাব বলছে, বুধবার থেকে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ৭৯ হাজার রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। মঙ্গলবার যেটা ছিল ৭৫ হাজার।