রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৭ পূর্বাহ্ন

বিজয় মাসের সূচনাপর্বে

এ কে এম শাহনাওয়াজ
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ৩১১ বার

আমাদের বিজয় দেখতে দেখতে অর্ধশতক ছুঁতে যাচ্ছে। একাত্তরে যারা বিজয় দেখেনি অর্থাৎ মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী প্রজন্মের কথা বলছি, তাদের অনুভূতিতে এ বিজয়ের তাৎপর্য, অনুভূতি, উত্তেজনা বা আনন্দ কতটা তা এখন অনুভব করা কঠিন। দু-তিন যুগ আগে যেভাবে অনুভব করতে পারতাম এখন বেশ জটিল হয়ে গেছে। সমাজ এখন নানাভাবে বিভাজিত। মুক্তিযুদ্ধের সময় বড় দুটো বিভক্তি দৃশ্যমান ছিল।

বৃহত্তর অংশটি চেয়েছে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও দেশকে পাকিস্তানি হানাদারদের হাত থেকে মুক্ত করবে। অন্য ক্ষুদ্র অংশটি পাকিস্তান টিকিয়ে রাখতে চেয়েছে। এ কারণে তারা হানাদারদের সহযোগীর ভূমিকা পালন করেছে। মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে অর্থাৎ স্বাধীন বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষ শক্তি তাদের ঐক্য ধরে রাখতে পারেনি। রাজনৈতিক লাভালাভের বিষয়টি প্রকট হয়েছে, এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র। আর এর সুযোগ গ্রহণ করেছে পাকিস্তানপন্থী মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীরা।

এদের অশুভ তৎপরতায় অনেক তরুণও বিভ্রান্ত হচ্ছে। আপাত প্রগতিশীলতার মুখোশ পরিয়ে তারা এদের দিয়ে নিজেদের এজেন্ডা পূরণ করতে চাচ্ছে। এদের চেনার জন্য মাঝে মাঝে আমার কলামে ধর্মবিষয়ক প্রশ্ন উত্থাপন করি। প্রতিক্রিয়া বোঝার চেষ্টা করি। এতে এখন ভয়াবহ নেতিবাচক চিত্র বেরিয়ে আসে। আপাত প্রগতিশীলতার আড়ালে দেখতে পাই মৌলবাদের চর্চা করছেন অনেকে।- সে কথা থাক।

আমরা মনে করি, নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ঘনিষ্ঠ করে তুলতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের পূর্বাপর সব বাস্তবতা অনুধাবন করলে তাদের বিভ্রান্ত করার জায়গাটি ছোট হয়ে আসবে। মুক্তিযুদ্ধের আট মাসে অর্থাৎ নভেম্বরের মধ্যেই আমাদের গেরিলা যোদ্ধারা সারা দেশে পাক বাহিনীকে কোণঠাসা করে ফেলেছিল। তখন শেষ আঘাতের জন্য প্রয়োজন ছিল সম্মুখযুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধের একটি নিষ্পত্তিমূলক পরিণতি অর্থাৎ চূড়ান্ত বিজয়ের পথে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্র ১৯৭১-এর ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

অন্তরালে রাজনৈতিক কারণ কিছুটা ভূমিকা রাখলেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ব্যক্তিগত সহানুভূতি ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি ছিল নির্যাতিত-নিপীড়িত বাঙালির প্রতি। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে তিনি মূল্য দিয়েছিলেন। ফলে প্রায় এক কোটি শরণার্থীর ভার তিনি অবলীলায় গ্রহণ করেছিলেন। তিনি পাশে পেয়েছিলেন সমমনা রাজনৈতিক সহকর্মী ও সামাজিক সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অনেককে। কতিপয় বিরুদ্ধ চিন্তার রাজনৈতিক ঘরানার মানুষের প্রতিরোধের মুখোমুখি হলেও নিজ রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও চারিত্রিক দৃঢ়তা নিয়েই ইন্দিরা গান্ধী তার লক্ষ্যে এগিয়েছিলেন।

একাত্তরের শেষদিকে এসে মুক্তিপ্রত্যাশী বাঙালির চাওয়া ছিল ভারতীয় বাহিনী সরাসরি আমাদের পাশে থেকে সাহায্য করুক। বিষয়টি নিয়ে সে সময়ের স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার গভীরভাবে ভেবেছে। এমন একটি বাস্তবতায় ২৬ অক্টোবর থেকে ছাব্বিশ দিন ইন্দিরা গান্ধী আমেরিকা ও পশ্চিম ইউরোপ সফর করেন। এ সময় তিনি বিশ্ববাসীকে বোঝাতে চেষ্টা করেছিলেন যে, বাস্তব কারণেই পূর্ব পাকিস্তানে ভারতের সামরিক হস্তক্ষেপের প্রয়োজন রয়েছে। বিশ্ব নেতারা অনেকেই এতদিন আশা করেছিলেন পাকিস্তান একটি রাজনৈতিক সমাধানের দিকে যাবে। কিন্তু ক্রমে সে আশা ফিকে হয়ে যাচ্ছিল। অবস্থা যে পর্যায়ে চলে গিয়েছিল তাতে শেখ মুজিবকে মুক্তি দিয়ে তার সঙ্গে কোনো আপস করতে হলে সেনা শাসকদের ক্ষমতা ত্যাগ করে আসতে হবে। কিন্তু সে পথে হাঁটবে না ইয়াহিয়া খানের প্রশাসন।

কিন্তু ভারতের মতো একটি বিদেশি রাষ্ট্রের সৈন্যরা সরাসরি যুদ্ধে অংশ নিয়ে দেশ স্বাধীন করায় ভূমিকা রাখলে এর পরবর্তী প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে সে আশঙ্কাও করছিলেন অনেকে। কিন্তু এ আশঙ্কা থেকে সবাইকে মুক্ত করেছিলেন দু’পক্ষের নেতারা। বঙ্গবন্ধুর পক্ষে প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ এবং ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী স্বাক্ষরিত একটি দলিল তৈরি করা হয়েছিল।

তাতে ছিল বেশ কয়েকটি শর্ত। একটি শর্তে ছিল, ১৯৭১-এর ২৫ মার্চের পর যারা ভারতে প্রবেশ করেছে স্বাধীন দেশে শুধু তারাই ফেরত আসবে। অন্য আরেক শর্তে ছিল, বাংলাদেশ সরকারের অনুমতি ছাড়া কোনো ভারতীয় সৈন্য বাংলাদেশে ঢুকতে পারবে না এবং বাংলাদেশ সরকার যতদিন চাইবে শুধু ততদিনই ভারতীয় সৈন্য বাংলাদেশে থাকতে পারবে। বিপুলসংখ্যক শরণার্থীর চাপ ভারতের মোকাবেলা করা কঠিন হয়ে পড়ছিল। ফলে ভারতও চাইছিল বাংলাদেশ সংকটের দ্রুত নিষ্পত্তি হোক। যা হয়তো পাক-ভারত যুদ্ধের একটি প্রেক্ষাপট তৈরি করেছিল।

এ প্রসঙ্গে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরপর ৫ ডিসেম্বর অ্যান্থনি মাসকারেনহাসের লেখা লন্ডন সানডে টাইমসে প্রকাশিত একটি নিবন্ধ থেকে যৌক্তিক বিশ্লেষণ পাওয়া যায়। রাজনৈতিক অসহিষ্ণুতা ও অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের কারণে দেশে ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অথচ বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলো নীরবতার ভূমিকা পালন করছে। এ প্রসঙ্গটি এই প্রবন্ধে যথার্থভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। মাসকারেনহাস লিখেছেন ‘সত্যি কথা হল, ভারত অনিচ্ছাকৃতভাবে যুদ্ধে লিপ্ত হতে বাধ্য হচ্ছে. কারণ উদ্বাস্তু সমস্যা সমাধানের আর কোনো বিকল্প নেই। আট মাস ধরে বিশ্বের কাছে সাহায্য চেয়ে ব্যর্থ হতে হয়েছে। যে ১১ মিলিয়ন পূর্ব পাকিস্তানি শরণার্থী সীমান্ত অতিক্রম করে আশ্রয় নিয়েছে তাদের ভরণপোষণ ও খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ করার জন্য ভারত আর্থিক সাহায্য চেয়েছে।

এছাড়া শরণার্থীরা যাতে পূর্ব পাকিস্তানে নিরাপদ আশ্রয়ে তাড়াতাড়ি ফিরে যেতে পারে সে লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সংস্থার ব্যবস্থা গ্রহণের আশা ভারতের ছিল। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী গুরুত্ব দিয়ে বলেছিলেন যে, কোনো অবস্থাতেই শরণার্থীদের ভারতে স্থায়ীভাবে থাকতে দেয়া হবে না। গত মাসের ইন্দিরা গান্ধীর আমেরিকা ও ইউরোপ সফর আশানুরূপ ফল দেয়নি। আগামী মার্চ পর্যন্ত অর্থাৎ ১২ মাসে উদ্বাস্তুদের ভরণ-পোষণে খরচ হবে ৩৯০ মিলিয়ন পাউন্ড। এখন পর্যন্ত যে পরিমাণ সাহায্যের আশ্বাস পাওয়া গেছে তা মাত্র ১০৩ মিলিয়ন পাউন্ড। এর মধ্যে ভারত হাতে পেয়েছে মাত্র ৩০ মিলিয়ন পাউন্ড।

পাকিস্তানের প্রতি রাজনৈতিক চাপ প্রয়োগের ভারতীয় অনুরোধে আমেরিকার প্রতিক্রিয়া ছিল হতাশাব্যঞ্জক। নিউইয়র্ক টাইমসের মতে ভারত আপসের দিকে না গিয়ে বরং যুদ্ধের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে। একজন ভারতীয় মুখপাত্রের মতে, ‘আমরা সাহায্য প্রার্থনা করে যা পেয়েছি তা শুধু ধৈর্য ও সহিষ্ণুতা ধরনের উপদেশ।’

পূর্ব পাকিস্তানের সমস্যা ভারতের অর্থনীতিকে প্রভাবিত করছে। জিনিসপত্রের মূল্য অনবরত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বৃদ্ধি পাচ্ছে বেকারের সংখ্যা। ছয় মাস পূর্বে দিল্লিতে রাস্তার পাশে মাদ্রাজি দুটি দোসা ও দুটি ইডলি এবং দু’কাপ চা কফি তিন টাকায় (২৫ পেনি) পাওয়া যেত, এখন তা সাড়ে আট টাকা।…উদ্বাস্তুদের সাহায্যার্থে যে ট্যাক্স বসানো হয়েছে তা এখন সবাইকে আক্রান্ত করছে।

কারণ প্রতিটি ভারতীয়কে একটি চিঠি লেখার জন্য ৫ পয়সা করে উদ্বাস্তু কর দিতে হয়। ১৯৬৫ সালে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের যুদ্ধে যত টাকা খরচ হয়েছিল বর্তমানে শরণার্থীদের জন্য ভারতের তার চেয়ে বেশি খরচ করতে হচ্ছে। সুতরাং উদ্বাস্তুদের আর্থিক সাহায্য করার বদলে যুদ্ধ করাই শ্রেয়।

কয়েকজন ব্যক্তি যেমন সম্পাদক, ব্যবসায়ী, সরকারি কর্মকর্তাসহ দিল্লিতে যার সঙ্গেই আলাপ করি, তারা সবাই এক বাক্যেই বলেন, ‘২৪ বছর ধরে ভারত পাকিস্তানের বোঝা টানছে। এখন চিরতরে সব সমস্যা সমাধানের সময় এসেছে। পাকিস্তানের সঙ্গে সব ধরনের সমস্যা এবং ভারতের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সমস্যা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাহায্য প্রদানে ব্যর্থতা ও জাতিসংঘের অকার্যকারিতা ভারতকে যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।’

এর মধ্যে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়ার ব্যাপারে ভারতের অভ্যন্তরে সরকারের ওপর চাপ ছিল। মার্চ থেকে নভেম্বর পর্যন্ত বেসরকারি নানা সংগঠন থেকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়ার প্রশ্নটি উঠে আসে। বিশেষ করে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন, ট্রেড ইউনিয়ন, বুদ্ধিজীবীদের নানা সংগঠন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে গড়ে ওঠা বিভিন্ন শিক্ষক সমিতি এবং রাজ্য বিধানসভাগুলোও স্বীকৃতির পক্ষে দাবি উত্থাপন করে।

বাংলাদেশকে অর্থাৎ মুক্তিবাহিনীকে সরাসরি সাহায্যের জন্য এই স্বীকৃতিরও প্রয়োজন ছিল। তাছাড়া পাকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধাবস্থা তৈরি না হলে বাংলাদেশে ভারতীয় সৈন্য প্রবেশ করা বৈধতা পাবে না। ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে এসব প্রশ্ন সামনে চলে আসে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যুদ্ধ ঘোষণার প্রথম প্রত্যক্ষ কারণ ঘটিয়ে দিল পাকিস্তান।

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ এর আগেও দু’বার সংঘটিত হয়েছিল। তবে এই তৃতীয় যুদ্ধের প্রেক্ষাপটটিই ছিল আলাদা। পাকিস্তান বাঙালির স্বায়ত্তশাসনের দাবির প্রতি সম্মান দেখায়নি। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পর ক্ষমতা হস্তান্তর না করে গণহত্যা চালিয়ে পাকিস্তানি শাসক বাঙালির ওপর মুক্তিযুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছিল। মে মাসের মধ্যেই পাকিস্তান বাহিনী তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে তাদের কর্তৃত্ব হারিয়ে ফেলতে থাকে।

এর মধ্যে আগস্টে ভারত সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে ২০ বছরব্যাপী শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করে। চুক্তি অনুসারে প্রত্যেক দেশ অপর দেশের জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে পারস্পরিক সহযোগিতা করার অঙ্গীকার করে। পূর্ব পাকিস্তানের (বাংলাদেশের) সীমান্তরেখায় ভারতীয় ভূখণ্ডে ভারত স্বাভাবিক কারণেই সৈন্য ও সমরাস্ত্র সমাবেশ করেছিল। সম্ভবত ভারতের দৃষ্টি অন্যত্র সরানোর উদ্দেশ্যে ৩ ডিসেম্বর ১৯৭১ ভারতের পশ্চিমাঞ্চলে পাকিস্তান আচমকা বিমান হামলা করে।

বিকাল সাড়ে পাঁচটায় পাকিস্তান বিমান হামলা করে। পাকিস্তানের মিরেজ-৩ বিমানগুলো পাঠানকোট বিমান ঘাঁটিতে। এতে রানওয়ের কিছুটা ক্ষতি সাধিত হয়। এর পর বিমান হামলায় পাঞ্জাবের অমৃতসরের রানওয়েরও ক্ষতি সাধিত হয়, তবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তা মেরামত করা সম্ভব হয়। এ সময়ই ভারত সিদ্ধান্ত নেয় এ রাতেই তারা পাকিস্তানে বিমান আক্রমণ করবে।

সামান্য বিরতি পরে পাকিস্তানের দুটি বি-৫৭ বিমান বোমা ফেলে হরিয়ানার আম্বালাতে। এ হামলায় সামান্যই ক্ষতি হয়েছিল। তবে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় রাজস্থানের উত্তারলাই এবং পাঞ্জাবের হালওয়ারা বিমান ঘাঁটিতে পাকিস্তানি বোমা বর্ষণে। এছাড়াও পাকিস্তানি বোমারু বিমান হামলা করে কাশ্মীরের উধামপুরে, জয়সালমির ও জোধপুরে। এভাবে প্রায় ১২টি বিমান ঘাঁটিতে পাকিস্তানি বিমান হামলা পরিচালিত হয়। নিক্ষিপ্ত বোমার সংখ্যা ছিল ১৮৩টি।

এ রাতেই ইন্দিরা গান্ধী ভারতীয় রেডিওতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। এ ভাষণের মধ্য দিয়েই যুদ্ধ ঘোষিত হয়ে যায়। এর পরের অধ্যায় মিত্রবাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর শেষ আঘাত হানা। এভাবেই মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত পথে এ বিজয়ের মাসের প্রথম পর্বেই আমরা মুক্তির স্বাদ অনুভব করতে থাকি।

ড. এ কে এম শাহনাওয়াজ : অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com