করোনার কষাঘাতে রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত পোশাক খাত ওলটপালট হয়ে যায়। মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে ক্রয়াদেশ (অর্ডার) বাতিল হওয়ার খবর আসতে থাকে। শেষ পর্যন্ত প্রায় ৩০০ কোটি ডলারেরও বেশি ক্রয়াদেশ স্থগিত হয়। এপ্রিলে এসে পোশাক রপ্তানি আয় ঠেকে তলানিতে। পরের মাসগুলোতে আস্তে আস্তে রপ্তানি আয় বাড়লেও আগের অবস্থানে যেতে পারেনি। তবে আশা নিয়ে আবারও কাজ করতে শুরু করেন উদ্যোক্তারা। এরই মধ্যে আবারও করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের খবরে আশায় হতাশা বাসা বাঁধে। বছর শেষে রপ্তানিতে অবস্থান ধরে রাখতে পারবে কিনা তা নিয়েও শঙ্কায় রয়েছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।
এদিকে করোনার প্রকোপ ঠেকাতে সরকার ২৬ মার্চ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। পোশাক কারখানা বন্ধের ব্যাপারে স্পষ্ট কোনো ঘোষণা না থাকায় সর্বোস্তরে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এদিকে ৪ এপ্রিলের পর সরকার সাধারণ ছুটি বাড়ালেও পোশাক কারখানা বন্ধ রাখার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত না থাকায় শ্রমিকদের হেঁটে ঢাকায় ফেরার বিষয়ে সমালোচনা তুঙ্গে ওঠে।
এপ্রিলে ৩০০ কোটি ডলারের স্থগিত ও বাতিল হওয়া অর্ডারগুলো আবার ফিরতে শুরু হলে কিছুটা স্বস্তি আসে পোশাক খাতে; কিন্তু নিজের অবস্থান থেকে ছিটকে পড়ে বাংলাদেশ। এর মধ্যে বাংলাদেশকে টপকে ভিয়েতনাম পোশাক রপ্তানিতে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে। রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনার ঘোষণা দেয় সরকার। সেই প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ঋণ নিয়ে এপ্রিল-জুনে ৩৫ লাখ কর্মীকে ব্যাংক বা মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্টে বেতন দেয়া হয়।