এবার সামাজিক যোগাযোগ বিষয়ক ‘ক্লাবহাউজ’ নামে আরেকটি অ্যাপ বন্ধ করে দিচ্ছে চীন কর্তৃপক্ষ। এই অ্যাপটি ব্যবহার করে চীনের ভিতরকার মানুষ বিদেশে অবস্থানরত ব্যক্তিদের সঙ্গে স্পর্শকাতর রাজনৈতিক বিষয়ে আলোচনা করতে পারেন। এর মধ্যে রয়েছে তাইওয়ান পরিস্থিতি এবং সিনজিয়াংয়ে মুসলিম সংখ্যালঘুদের প্রতি চীনের আচরণ। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি। চীনে ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করার জন্য এর আগে তারা ব্লক করে দিয়েছে জনপ্রিয় ফেসবুক, টুইটার ও বৈশ্বিক হাজার হাজার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, মানবাধিকার, গণতন্ত্র বিষয়ক হাজারো ওয়েবসাইট। তার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে ক্লাবহাউজ। গ্রেটফায়ার ডট অর্গ নামের যুক্তরাষ্ট্রের একটি অলাভজনক গ্রুপের মতে, সোমবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ চীনের ভিতরে ক্লাবহাউজের ব্যবহারহারীরা এই অ্যাপটি ব্যবহার করতে গিয়ে বিঘ্নিত হয়েছেন। এখানে উল্লেখ্য, গ্রেটফায়ার চীনে ইন্টারনেট ফিল্টারিং এবং ব্যবহারকরীদের বোকা বানানোর চেষ্টার বিষয়ে নজরদারি করে।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সরকার ইন্টারনেট ফিল্টারের কথা স্বীকার করতে অস্বীকৃতি জানায়। কিন্তু বিদেশি গবেষকরা দেখতে পান চীনের রাষ্ট্র মালিকানাধীন চীন টেলিকম লিমিটেডের সার্ভারেই ব্লকেজ রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠান চীনে ইন্টারনেট প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে। শি’র সরকার দাবি করে তারা ইন্টারনেটে সার্বভৌমত্ব দিয়েছে।
ক্লাবহাউজ চীনের ব্যবহারকারীদের অস্থায়ীভাবে একটি সুযোগ দিয়েছে স্পর্শকাতর রাজনৈতিক ইস্যুতে সেন্সরবিহীনভাবে ফোরামে আলোচনার। অন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মতো নয় এটা। এতে মৌখিক কথোকথন হয়। এর মধ্য দিয়ে চীনের ব্যবহারকারীরা সরাসরি তাইওয়ানের মানুষের সঙ্গে কথা বলতে পারে। স্বশাসিত এই দ্বীপটিকে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে।