কার্গো বিমানযোগে আমদানির ঘোষণায় কিছুটা কমে আসা পেঁয়াজের দাম গতকাল আবার বেড়েছে। ঘোষণার কয়েক দিনের ব্যবধানে কাক্সিক্ষত পেঁয়াজ দেশে আসার পর দাম আরো কমবে বলে আশা করা হলেও এক দিনের ব্যবধানে উল্টো ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম। খুচরা বাজারে আগের দিন ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হওয়া দেশি পেঁয়াজ গতকাল বিক্রি হয় ২০০ থেকে ২২০ টাকায়। ১৩০ টাকায় বিক্রি হওয়া পেঁয়াজ গতকাল বিক্রি হয়েছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায়। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় দাম বাড়ছে বলে জানান বিক্রেতারা। এক সপ্তাহ আগে পৌনে তিন শ’ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল দেশী পেঁয়াজের দাম।
গতকাল শনিবার রাজধানী ঢাকার কয়েকটি পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরাপর্যায়ে দেশী পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে। খুচরায় মিয়ানমারের পেঁয়াজ ১৮০ টাকা, মিসর ও চায়নার পেঁয়াজ ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা যায়। অন্য দিকে রাজধানী ঢাকার সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজারখ্যাত শ্যামবাজারে গতকাল দেশী পেঁয়াজ বিক্রি হয় ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা কেজি দরে। মিয়ানমারের পেঁয়াজ ১৩০ থেকে ১৫০ টাকায়, মিসরের পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১০৪ টাকায়, চায়না পেঁয়াজ ১০০ টাকায়, পাকিস্তান থেকে প্লেনযোগে আসা পেঁয়াজ ১৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা যায়।
ব্যবসায়ীরা জানান, বিমানযোগে পাকিস্তান থেকে যে পেঁয়াজ এসেছে সেগুলো বেশি দামেই বিক্রি হচ্ছে। এ কারণে আগে থেকে দেশে থাকা পেঁয়াজের দামও কমছে না। তবে আমদানি করা পেঁয়াজ আরো বেশি পরিমাণে আসার পর দাম কমবে বলে আশা করছেন তারা। তা ছাড়া বাজারে নতুন গাছপেঁয়াজের সরবরাহও দিনদিন বাড়ছে। দুই থেকে তিন সপ্তাহ পর নতুন দেশী পেঁয়াজও বাজারে চলে আসবে। তখন দাম অবশ্যই কমবে। তবে এ সময়টায় বাজারে এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন সংশ্লিষ্টরা।