সুপ্রিমকোর্টের সামনের সড়কে গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন পেয়েছেন বিএনপির মহাসচিবসহ ৪ জ্যেষ্ঠ নেতা।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ তাদের ৮ সপ্তাহের আগাম জামিন দেন। একই সঙ্গে তাদের নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।
জামিন পাওয়া নেতারা হলেন- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এবং বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
যুগান্তরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান।
কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের নেতাকর্মীরা গত মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের সামনে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বেশ কয়েকটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়।
ওই ঘটনায় সরকারি কাজে বাধা দেয়া, অগ্নিসংযোগ ও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ এনে শাহবাগ থানায় মামলা করে পুলিশ। এ মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এই মামলায় বিএনপির তিন কেন্দ্রীয় নেতাকে এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা হলেন-দলের ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজউদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন ও মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত।
মুক্তিযোদ্ধা মেজর হাফিজের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) এসএম শামীম। তিনি বলেন, ২৬ নভেম্বর হাইকোর্টের সামনে গাড়ি ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় শাহবাগ থানায় করা মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান মুঠোফোনে যুগান্তরকে জানান, হাফিজউদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রমের স্ত্রী দিলারা হাফিজ আমাকে ফোন করে জানিয়েছেন যে, তার স্বামীকে পুলিশ আটক করেছে। হাইকোর্ট থেকে বের হওয়ার পরই তাকে আটক করা হয়। তাকে কোথায় নেয়া হয়েছে তাও জানে না পরিবার।
এর আগে সকালে সুপ্রিমকোর্টের ফটক থেকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনকে আটক করে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শাহবাগ থানার ওসি আবুল হাসান যুগান্তরকে বলেন, খায়রুল কবির খোকনকে হাইকোর্টের সামনে থেকে আটকের পর শাহবাগ থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে তাকে ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মঙ্গলবার হাইকোর্টের সামনে পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় বিএনপির ৫০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। মামলাটি ইতিমধ্যে ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। খায়রুল কবিরকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হতে পারে বলে জানান ওসি। এ বিষয়টি ডিবি পুলিশ দেখবে বলে জানান আবুল হাসান।
এর আগে বুধবার রাতে গ্রেফতার হন জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত। তাকে একই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।