গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ বাংলাদেশের ওপর দিয়ে যেন টর্নেডো বয়ে গেল! স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত জাতীয় অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকায় আগমনের প্রতিবাদে ‘হেফাজতে ইসলাম’ বাংলাদেশের কর্মসূচি পালনকালে তিন দিনে মোট ১৭টি তাজা প্রাণ ঝরে পড়ল। ঘটনার দায়দায়িত্ব যারই হোক না কেন, এই ১৭টি প্রাণের অবসান কিন্তু আমাদের জাতীয় জীবনের স্বাধীনতা দিবসের আয়োজনকে প্রথমবারের মতো ম্লান করেছে। ঘটনা চলমান থাকার সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ায় দেশবাসী তাৎক্ষণিকভাবে তেমন কিছু জানতে পারেনি। তবে আমাদের বেশ কিছু টিভি চ্যানেল গুরুত্বহীনভাবে এসব সংবাদ প্রচার করেছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তারা একটি পক্ষ নিয়ে শুধু ভাঙচুর ও হামলার দৃশ্য দেখিয়ে মানুষ নিহত হওয়ার প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে রাখে। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘটনাগুলো ভাইরাল হলে কিছু টিভি চ্যানেল বিভিন্ন স্থানে হামলার ধ্বংসযজ্ঞের ছবি দেখানোকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। ছবিগুলোর বক্তব্য হলো : অযথা বিনা উসকানিতে ও ঠাণ্ডা মাথায় শুধু মাদরাসার ছাত্ররা এই কাজ করেছে।’ তারা ফলাও করে হেফাজতের তাণ্ডব তুলে ধরলেও একবারো বলছে না, গুলিতে ১৭টি তাজা প্রাণ ঝরে পড়েছে। যেন এই ১৭টি হেফাজতের কর্মী-সমর্থক ছাত্র বিধায় তাদের হত্যা করা যেতেই পারে। যেখানে লেখক মোশতাকের মতো ব্যক্তির মৃত্যুতে সমস্ত সংবাদমাধ্যম তোলপাড় সৃষ্টি করেছিল, সেখানে ১৭টি মানুষ যেন মানুষই ছিল না! মিডিয়া যদি রাষ্ট্রের অন্যতম স্তম্ভ হয় এবং জাতির বিবেকের ভূমিকা পালন করে তবে এই বিবেক কি দেশের একটি শ্রেণীর বা ভিন্ন আদর্শের মানুষের মৃত্যুর জন্য জাগ্রত হতে পারে না? একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষ বলেই কি কথিত সেকুলার বা অসাম্প্রদায়িক চ্যানেলগুলোর বিবেককে এতগুলো মৃত্যু নাড়া দিতে পারেনি? এই সব মিডিয়া সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বলব, বুকে হাত দিয়ে বলুন, হেফাজতের ব্যানারে যারা প্রতিবাদ করতে গিয়ে জীবন দিলো তাদের ব্যাপারে কি একটি বারও নিজেদের সঙ্কীর্ণ স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে ভেবেছেন? কেউ গোঁড়া ধার্মিক বা মৌলবাদী হলেই কি তাদের এভাবে হত্যা করা যাবে? আপনাদের দৃষ্টিতে মৌলবাদী হলেও তারা কি মানুষ নয়? তাদের কি বাবা-মা, ভাইবোন, আত্মীয়স্বজন নেই?
সেই গুটিকয়েক টিভি চ্যানেলে হেফাজতের তাণ্ডবকে এমনভাবে প্রচার করা হচ্ছে যেন সম্পূর্ণ শান্তিতে পুরো জাতি সুখের বাঁশি বাজাচ্ছিল আর এই নীরবতার সুযোগে হেফাজতের মানুষগুলো থানা আক্রমণ করে অস্ত্র লুট করতে চেয়েছে বা রেললাইন, স্টেশন, অফিস-আদালত, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান জ্বালিয়ে সাফ করে দিয়েছে। এই তাণ্ডবের ঘটনার অপর পৃষ্ঠা পুরোপুরিই লোকচক্ষুর আড়ালে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু তথ্যপ্রবাহের মহাসড়কে আজ কোনো ঘটনাই একতরফা করে প্রচার সম্ভব নয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কল্যাণে মানুষ পুরো ঘটনার দুটো পিঠই দেখতে পাচ্ছে। জনগণের স্পষ্ট ধারণা হয়েছে; অযথা হঠাৎ শুধু ধর্মের নামে এই তাণ্ডব ঘটেনি। এর উসকানিদাতা ও এই তাণ্ডবকারী কারা এবং কারা গুলি করে এতগুলো মানুষ হত্যা করল, তা আজ জাতির কাছে দিবালোকের মতোই পরিষ্কার।
ঘটনার সূত্রপাত বায়তুল মোকাররম জামে মসজিদ। গত ২৬ মার্চ জুমার দিন হেফাজতের আনুষ্ঠানিক বা পূর্বঘোষিত কোনো কর্মসূচি ছিল না। সেখানে জুমার নামাজ শেষে কিছু মুসল্লি স্বপ্রণোদিত হয়ে মোদিবিরোধী স্লোগান দেয়। সাথে সাথে মুসল্লিদের সাথে মিশে থাকা একটি সংঘবদ্ধ গোষ্ঠী ওই প্রতিবাদী মুসল্লিদেরকে ইটপাটকেল ও লাঠিসোটা নিয়ে আক্রমণ করে। একই সাথে, বাইরে থাকা পুলিশ এবং তাদের সাথে থাকা একদল লাঠি-সোটাধারী লোক ওই মুসল্লিদেরকে আক্রমণ করে। এতে বিক্ষুব্ধ জনতা আরো ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এবং পুলিশ ও আক্রমণকারী গোষ্ঠীর সাথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় লিপ্ত হয়। পুলিশ এ সময় হাজার হাজার রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে প্রায় ৬০ জন আহত হয় বলে জানা যায়।
ওই ঘটনার সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে হাটহাজারী মাদরাসার ছাত্ররা বিক্ষোভ মিছিল বের করে ও চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি সড়ক অবরোধ করে। এই মিছিল থানার সামনে দিয়ে অতিক্রম করার সময় কোনো কোনো অতিউৎসাহী মিছিলকারী থানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে প্রতিক্রিয়ায় পুলিশ প্রতিরক্ষার অজুহাতে গুলি ছোড়ে এবং সেখানে চারজন মিছিলকারী নিহত হয়। ওই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ২৭ মার্চ সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করে। এর সমর্থনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জামিয়া ইউনুসিয়া মাদরাসার ছাত্ররা মহাসড়কে মিছিল করে ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই মাদরাসায় ফিরে এসে যে যার মতো নিত্যদিনের কাজকর্মে মগ্ন হয়। ইতোমধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরকারি দলের একজন সংসদ সদস্যের নেতৃত্বে মিছিল মহাসড়ক ছেড়ে এসে গলিপথে ঢুকে মাদরাসা আক্রমণ করে। এলাকাবাসী মাদরাসার ছাত্রদের সহযোগিতায় এগিয়ে এলে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে এবং এখানেও আরো কয়েকটি তাজা প্রাণ ঝরে পড়ে। উত্তেজিত জনতা পরদিন ২৮ মার্চ পুনরায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে ওই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে এবং দেশব্যাপী হেফাজতের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল বের করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে ব্যাপক সংঘর্ষের একপর্যায়ে আরো কয়েকজন বিক্ষোভকারী নিহত হলে ক্ষুব্ধ জনতার রোষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিজেদের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এতে উত্তেজিত জনতা বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় আগুন ধরিয়ে দিয়ে ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। অবশ্য গত ২৯ মার্চ সহিংসতার ঘটনায় প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তাকে দায়ী করেন স্থানীয় এমপি (দৈনিক প্রথম আলো : ৪ এপ্রিল ২০২১)। হেফাজতের ভাষ্যমতে- এই ধ্বংসযজ্ঞকারীরা হেফাজতের কেউ নয়, এরা বাইরের সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বা স্যাবোটাজকারী। হেফাজত এ ব্যাপারে ভিডিও ফুটেজ দেখে বিচার বিভাগীয় নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে হামলাকারী বা তাণ্ডবকারীদের খুঁজে বের করার জোর দাবি জানায়। তবে কিছু ইলেকট্র্রনিক মিডিয়ায় দেখানো হয়েছে শুধু ধ্বংসযজ্ঞের চিত্র। পাশে দেখানো হয়েছে দাড়ি-টুপিধারী কিছু লোক লাঠি হাতে মিছিল করছে। কিন্তু সরেজমিন আগুন দেয়া হচ্ছে বা ধ্বংস করছে এমন কোনো চিত্র এখন পর্যন্ত তারা দেখাননি। আবার হেফাজত দাবি করছে, যারা ধ্বংস করেছে তাদের ওই সময়কার ভিডিও ফুটেজ তাদের কাছে সংরক্ষিত আছে এবং তারা তা তদন্তকারীদের হাতে হস্তান্তর করতে প্রস্তুত। এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের এমপি হরতালকালীন তাণ্ডবের ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির এক সদস্য ও তার সমর্থকদের দায়ী করেছেন (দৈনিক নয়া দিগন্ত : ৪ এপ্রিল ২০২১)।
বাংলাদেশের কিছু ইলেকট্রনিক মিডিয়া ওইসব ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর সময়কার প্রকৃত চিত্র না প্রকাশ করলেও সামাজিক বা অনানুষ্ঠানিক মিডিয়ায় সেগুলো দেশ-বিদেশের মানুষ দেখেছে। এছাড়া বেশ কিছু মিডিয়া শুধু হেফাজতে ইসলামের বিরোধী আলোচকদেরকে বসিয়ে টকশো করে একতরফাভাবে হেফাজতের বিরুদ্ধে বক্তব্য প্রচার করেছে। তবে কোনো কোনো মিডিয়া দুই-একজন হেফাজতের পক্ষের লোক আনলেও তৃতীয় সারির নেতা বা অপেক্ষাকৃত কম বাকপটু আলোচককে নিয়ে আসায় উপস্থাপক ও অন্য একাধিক বিরোধী আলোচক মিলে তাকে কোণঠাসা করে রাখছেন টকশোগুলোতে। কিন্তু মিডিয়ার এই একতরফা পদ্ধতিও নস্যাৎ হয়ে যাচ্ছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন। কারণ এর বিপরীতে দেশে-বিদেশে বেশ কিছু ব্যক্তির উদ্যোগে টকশোর আয়োজন করা হচ্ছে। সঠিক কথা জানার জন্য মানুষ আজ ওইসব ইউটিউবারদের দিকে ঝুঁকে পড়ছে। ফলে তাদের জনপ্রিয়তা বাড়ার সাথে সাথে দেশীয় টিভি চ্যানেলগুলোর জনপ্রিয়তা কমে যাচ্ছে। অর্থাৎ এসব মিডিয়া আস্থা হারাচ্ছে দ্রুত যার পরিণাম হতে পারে দুর্ভাগ্যজনক। সত্যিকারার্থে আজকাল বিকল্প ব্যবস্থা থাকায় মানুষ শুধু স্তুতিবাক্য এবং একদেশদর্শী বক্তব্য শুনে বিরক্ত হয়ে যাচ্ছে। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনা পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘সাংবাদিকদের কাজ হলো, সত্য তুলে ধরা। আপনারা অনেক জায়গায় সেটি করে যাচ্ছেন’ (দৈনিক প্রথম আলো : ৪ এপ্রিল ২০২১)।
স্বাধীনতার পর থেকে দেশে কোন আন্দোলনটা অসহিংস হয়েছে? কোন আন্দোলনে ভাঙচুর, আগুনে পোড়ানোর ঘটনা ঘটেনি? কেউ কি একটি আন্দোলনের কথা বলতে পারবেন যেখানে জ্বালাও পোড়াও হয়নি? মিডিয়া কি আজ এটাই বলতে চাচ্ছে যে, শুধু হেফাজতই তাণ্ডব করেছে? অথচ হেফাজত চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছে, এই তাণ্ডব তাদের কাজ নয়। কোনো ধরনের ভাঙচুর বা ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ কখনো আন্দোলনের বা প্রতিবাদের ভাষা হতে পারে না এবং তা কাম্যও নয়। তবে বাংলাদেশে আন্দোলনের ইতিহাস ও সংস্কৃতির সাথে এই জঘন্য অপরাধ জড়িয়ে রয়েছে! আশির দশকের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, মধ্য নব্বইয়ের তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন, ২০০৫-০৬-এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান পরিবর্তনের আন্দোলন ইত্যাদি এগিয়েছে সহিংস পন্থায়। ২০১৩ থেকে ২০১৫ পর্যন্তও সহিংস আন্দোলন হয়েছে, তবে এ সময় সহিংসতার চরিত্রে কিছুটা পরিবর্তন লক্ষ করেছেন পর্যবেক্ষকরা। এ সময় আন্দোলনকারীদের বাইরেরও একটি পক্ষ বা গোষ্ঠীকে সহিংসতা বা ধ্বংসযজ্ঞ ঘটাতে যোগ দিতে দেখা যায়। এই তৃতীয় পক্ষের ধ্বংসযজ্ঞ ছিল চোরাগোপ্তা ও দ্বিগুণ ভয়াবহ। ফলে সৃষ্টি হয়েছে ধোঁয়াশার। কঠিন হয়ে পড়েছে প্রকৃত তাণ্ডবকারীদের খুঁজে বের করা। আন্দোলনকারী, আন্দোলনবিরোধী অথবা তৃতীয় কোনো পক্ষ এসব ধ্বংসযজ্ঞের জন্য কে দায়ী, তা সুনির্দিষ্ট করে চিহ্নিত করা যাচ্ছে না। ফলে ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছে প্রকৃত অপরাধীরা।
আমাদের দেশের কিছু ইলেকট্র্রনিক মিডিয়ার ব্যাপারে সবাইকেই সজাগ থাকতে হবে। কারণ, আমরা দেখেছি ক্ষমতার পরিবর্তনের সাথে সাথে কিভাবে কিছু মিডিয়ার চরিত্র রাতারাতি পাল্টে যায়। কাজেই যারা শুধু স্তুতিবাক্য উচ্চারণ করে ক্ষমতাসীনদেরকে খুশি রেখে আসল ঘটনা আড়াল করে রাখে, তারা সত্যিকারার্থে সরকারেরই ক্ষতি করছে। আর যে সব মিডিয়া এ ধরনের একপেশে বক্তব্য তুলে ধরে একটি নির্দিষ্ট আদর্শ বা গোষ্ঠীর বিপরীতমুখী জনমত গড়ে তুলতে চায়, তারা আসলে মিডিয়া জগতেরই ক্ষতি করছে। কারণ এতে মানুষ বিকল্প মিডিয়ার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়বে। আবার যারা মিডিয়ায় এ ধরনের সত্য-মিথ্যাকে মিশ্রিত করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে সংবাদ পরিবেশন করছেন তাদের ব্যাপারে পবিত্র কুরআনে স্পষ্টভাষায় বলা হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা ন্যায়বিচারে দৃঢ় প্রতিষ্ঠিত থাকবে আল্লাহর সাক্ষীস্বরূপ, যদিও তা তোমাদের নিজেদের অথবা বাবা-মা এবং আত্মীয়স্বজনের বিরুদ্ধে হয়, সে বিত্তবান হোক অথবা বিত্তহীন হোক, আল্লাহ উভয়েরই ঘনিষ্ঠ। সুতরাং তোমরা ন্যায়বিচার করতে প্রবৃত্তির অনুগামী হয়ো না। যদি তোমরা প্যাঁচালো কথা বলো অথবা পাশ কাটিয়ে যাও তবে তোমরা যা করো, আল্লাহ তো তার সম্যক খবর রাখেন।’ (সূরা নিসা, ৪ : ১৩৫) কাজেই আসুন, আমরা রাগ-বিরাগ, আবেগ, শত্রুতা বা স্বার্থবাদিতার ঊর্ধ্বে উঠে বস্তুনিষ্ঠ ও সত্য সংবাদ প্রচারে কাজ করি। তবেই মিডিয়া হয়ে উঠতে পারবে জাতির সত্যিকারের বিবেক।
লেখক : নিরাপত্তা বিশ্লেষক