পাকিস্তান বিমান বাহিনী ঘরোয়াভাবে তৈরী নতুন এক সম্প্রসারিত পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে পরীক্ষা করেছে। তারা একে ‘স্মার্ট অস্ত্র’ হিসেবে অভিহিত করেছে। তারা দৃঢ়ভাবে বলেছে, যেকোনো বিদেশী আগ্রাসনের শিকার হলে তারা ‘পূর্ণ শক্তি দিয়ে’ জবাব দেবে।
অস্ত্রটি সম্ভবত বিমান থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র। এটি চীন-পাকিস্তান মাল্টিরোল জঙ্গিবিমান জেএফ-১৭ থান্ডারে মোতায়েন করা হয়েছে। পাকিস্তান বিমান বাহিনী এ তথ্য জানিয়েছে। নতুন ক্ষেপণাস্ত্রটির কোনো বৈশিষ্ট্যের কথাই প্রকাশ করা হয়নি। কেবল বলা হয়েছে, এর পাল্লা বেশি এবং এটি ‘স্মার্ট অস্ত্র’।
পরীক্ষার একটি সংক্ষিপ্ত সময়ের ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দেখা যায়, একটি জঙ্গিবিমান ক্ষেপণাস্ত্রটি মোতায়েন করছে, যা নির্দিষ্ট টার্গেটে আঘাত হেনেছে। ফুটেজে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে সৃষ্ট গর্তও দেখানো হয়েছে।
নতুন অস্ত্রের আবিষ্কার ও সফলভাবে তা পরীক্ষার ঘটনার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন বিমানবাহিনীর প্রধান মুজাহিদ আনোয়ার খঅন। তিনি এই কৃতিত্বের জন্য দেশটির প্রকৌশলী ও বিজ্ঞানীদের প্রশংসা করেন।
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, পাকিস্তান শান্তিপ্রেমি দেশ। তবে এই দেশ যদি শত্রুর আগ্রাসনের শিকার হয়, তবে পূর্ণ শক্তি দিয়ে জবাব দেবে।
পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে অচলাবস্থার মধ্যে এই পরীক্ষাটি করা হলো। চলতি বছরের প্রথম দিকে কাশ্মিরে একটি আত্মঘাতী হামলায় ৪০ জনের বেশি প্যারামিলিটারি নিহত হওয়ার প্রেক্ষাপটে দুই দেশের মধ্যকার উত্তেজনা আরো বাড়ে। এরপর ভারতীয় বিমান বাহিনী পাকিস্তানের অভ্যন্তরে বিমান হামলা চালায়। তারা বলে যে তারা সন্ত্রাসী আস্তানা গুঁড়িয়ে দিতে এই হামলা চালিয়েছিল। পাকিস্তানও এর জবাবে ভারতের গোলাবর্ষণ করে। পাকিস্তান বিমান বাহিনী অন্তত একটি ভারতীয় বিমানকে ভূপাতিত ও এর পাইলটকে আটক করে। পরে তাকে মুক্তি দেয়া হয়।
এরপর কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করার পর দুই দেশের সম্পর্কে আরো অবনতি হয়।