১২ ডিসেম্বরের নির্বাচনের আগে জরিপ করছে বিভিন্ন সংস্থা। এসব জরিপের বেশিরভাগেই এগিয়ে রয়েছে কনজারভেটিভ পার্টি। জরিপগুলোয় আভাস পাওয়া যাচ্ছে ঝুলন্ত পর্লামেন্টের। আবার দেখা যাচ্ছে নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে ততই কমছে কনজারভেটিভ পার্টির সমর্থন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দি ইন্ডিপেনডেন্ট বলছে, বরিস জনসনের দল সর্বোচ্চ সংখ্যক আসন পেলেও ঝুলন্ত পার্লামেন্টের শঙ্কা রয়েছে। নির্বাচন ঘিরে প্রচারে সব দল। ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে ভোটার নিবন্ধন। উত্তাপও রয়েছে চলমান প্রচারে। প্রচার ও বিতর্কে ইসলাম বিদ্বেষ ও ইহুদি বিদ্বেষের অভিযোগ উঠেছে কনজারভেটিভ ও লেবার পার্টির মতো বড় দলের বিরুদ্ধেও।
নির্বাচনী প্রচার শুরুর পর থেকে বরিস জনসন বেশ এগিয়ে ছিল। এ সময় জেরেমি করবিনের তুলনায় ১৩ পয়েন্টের ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন।
সর্বশেষ জরিপে অবশ্য প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের দল কনজারভেটিভ পার্টি মাত্র ৬ পয়েন্টে এগিয়ে আছে লেবার পার্টি থেকে। সপ্তাহখানেক আগের জরিপে এগিয়ে ছিল ১৩ পয়েন্টের ব্যবধানে। জরিপগুলোয় ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে বিরোধী লেবার পার্টির মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
স্বনামধন্য জরিপ সংস্থা বিএমজি রিসার্চের জরিপে দেখা গেছে, জেরেমি করবিন ভোটারদের সমর্থন আদায়ে সমর্থ হচ্ছেন, যা অন্য দলগুলোর জন্য ঝুঁকির কারণ। নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসতে আসতে এ অবস্থা আরও কঠিন হয়ে উঠতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিজিএম রিসার্চের ফলে টোরি (কনজারভেটিভ) প্রার্থী ৬ পয়েন্ট এগিয়ে আছেন লেবার পার্টি থেকে। ২১ নভেম্বর করা এ জরিপে অবস্থান ছিল ৩৯ পয়েন্ট। ২৭-২৯ নভেম্বরের জরিপে দুই পয়েন্ট কমে গেছে কনজারভেটিভদের।
এদিকে ৫ পয়েন্ট বেড়ে ৩৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে লেবার পার্টির। জরিপের এ ফল বাস্তব হলে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে কোনো দলই হাউস অব কমন্সে যাবে না। ২৮-২৯ নভেম্বরে করা ইউগভের জরিপে টরিদের ৪৩ পয়েন্টে দেখানো হয়েছিল।
সাবান্তা কমরেসের একটি জরিপে টরি ১০ পয়েন্টে এগিয়ে আছে লেবারদের তুলনায়। লেবারদের পয়েন্ট দেখানো হয়েছে ৩৩। টরিদের অবস্থান ৪৩।