নিউইয়র্কের বহুল প্রচারিত সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা’র নারী পাতার দ্বিতীয় বর্ষপূর্তী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, প্রবাসের শত-সহস্র সমস্যা মোকাবেলা করে বাংলাদেশী নারীরা এগিয়ে চলছেন। পরিবার, সংসার আর কাজ সামলিয়ে পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও সমাজে অবদান রেখে চলেছে। কমিউনিটি তথা সমাজকে এগিয়ে নিতে নারীর ক্ষমতায়ন বৃদ্ধিতে নারীদেরকেই অগ্রনী ভূমিকা রাখতে হবে। অনুষ্ঠানে বক্তারা বাংলা পত্রিকা’র বিশেষ এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
সিটির এস্টোরিয়াস্থ বাংলা পত্রিকা ও টাইম টেলিভিশন-এর বার্তা কক্ষে শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত বিশেষ অতিথি ছিলেন নিউইয়র্ক ষ্টেট সিনেটর লুইস সেপুলভেদা, ষ্টেট সিনেটর জন ল্যু ও ষ্টেট সিনেটর জুলিয়া সালাজার। বাংলা পত্রিকা’র নারী পাতার সম্পাদক ড. বিলকিস রহমান দোলা’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অতিথিত্রয় ছাড়াও আরো বক্তব্য রাখেন বাংলা পত্রিকা’র সম্পাদক ও টাইম টেলিভিশন-এর সিইও আবু তাহের, প্রবীণ অভিনেত্রী রেখা আহমদ, কবি আলেয়া চৌধুরী, নিউইয়র্ক ষ্টেট অ্যাসেম্বলী ডিষ্ট্রিক্ট ৩৭ থেকে ডেমোক্র্যাট দলীয় আগামী প্রাইমারী নির্বাচনে প্রার্থী মেরী জোবায়দা, শেলী জামান খান ও রাজিয়া নাজমী।
অনুষ্ঠানে নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধিদের মধ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ‘বাংলাদেশী আমেরিকান্স ফর পলিটিক্যাল প্রোগ্রেস’ (বিএপিপি)-এর কো ফাউন্ডার মৌমিতা আহমেদ, জেরিন মাইসা, আবিবা ইমাম দ্যুতি প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মধ্যে প্রবীণ সাংবাদিক মনজুর আহমদ, নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সভাপতি, সাপ্তাহিক পরিচয় সম্পাদক নাজমুল আহসান, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিষ্ট আব্দুস শহীদ, প্রবীণ প্রবাসী আব্দুল বাসিত খান, সাংবাদিক শেখ সিরাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ সোসাইটির সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুর রহীম হাওলাদার, সোসাইটির নির্বাচনে ‘নয়ন-আলী’ প্যানেলের সভাপতি পদপ্রার্থী কাজী আশরাফ হোসেন নয়ন ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মোহাম্মদ আলী, কবি-লেখক কাজী জহিরুল ইসলাম, সঙ্গীত শিল্পী পাপিয়া মনা, আকিব হোসাইন, সাহানা মাসুম, মুক্তি জহির, রওশন আরা সরকার নিপা, সামিয়া জাহান মুন, নার্গিস রহমান, সোহানা নাজনীন, ফেরদৌস নাজমী, সাজুয়া অরিন, পরনা ইয়াসমীন, শুকলা রায়, ক্রিসটিনা লিপা রোজারিও প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পরে কেক কেটে নারী পাতার দ্বিতীয় বর্ষপূর্তী পালন করা হয়। অনুষ্ঠানটি টাইম টেলিভিশন সরাসরি সম্প্রচার করে। অনুষ্ঠানে ষ্টেট সিনেটর লুইস সেপুলভেদা বলেন, আমি নিউইয়র্ক সিটির অন্যতম বাংলাদেশী অধ্যুষিত এলাকার জনপ্রতিনিধি হিসেবে বাংলাদেশীদের সেবা করে যাচ্ছি। বাংলাদেশীরা আমার আপনজন। তিনি সম্প্রতি সিনেটর প্রতিনিধি দলের ঢাকা সফরের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে বলেন, সিলেট খুব ভালো লেগেছে। অবসর জীবনে নিউইয়র্ক আর সিলেটে থাকতে চাই। তবে ঢাকার যানজট দেখে নিউইয়র্কের যানজট নিয়ে কিছু বলার নেই।
ষ্টেট সিনেটর জন ল্যু বলেন, বাংলাদেশীরা আমার কাছে ফ্যামিলিম্যান। দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশীদের সাথে আমার সম্পর্ক। তিনি নারেিদর নিয়ে বাংলা পত্রিকা’র বিশেষ আয়োজনের প্রশংসা করেন। ষ্টেট সিনেটর জুলিয়া সালাজার বলেন, ষ্টেট সিনেটে আমি সর্ব কনিষ্ট সিনেটর। অনেক বাংলাদেশীই আমার সমর্থক, ভোটার। আজকের অনুষ্ঠানে আসতে পেরে ভালো লেগেছে।