আচমকাই অগ্নুৎপাত নিউজিল্যান্ডের একটি আগ্নেয়গিরিতে। বেড়াতে গিয়ে সেখানে আটকে পড়েছেন বহু পর্যটক। আহত বহু। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে উদ্ধার কাজ শুরু করেছে সে দেশের প্রশাসন।
আগ্নেয়গিরি দেখতে গিয়ে নিউজিল্যান্ডে নিখোঁজ বহু পর্যটক। ৫ জনের মৃত্যু ও ২০ জন আহত হওয়ার খবর এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করেছে দেশটির পুলিশ। কী করে ওই আগ্নেয়গিরির কাছে পর্যটকরা পৌঁছলেন, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
ঘটনার সূত্রপাত নিউজিল্যান্ডের সময়ে সোমবার দুপুরে। আচমকাই অগ্নুৎপাত শুরু হয় নিউজিল্যান্ডের মূল ভূখণ্ড থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে সমুদ্রের মাঝখানে থাকা একটি দ্বীপে। হোয়াইট আইল্যান্ড বলেই যা পরিচিত।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, প্রতিদিনের মতো এ দিনও অসংখ্য পর্যটক সেই দ্বীপটি দেখতে গিয়েছিলেন। তখনই দ্বীপের মধ্যে থাকা আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্নুৎপাত শুরু হয়। প্রায় ১০ হাজার ফুট পর্যন্ত আগুন ওঠে এবং লাভা স্রোত বইতে শুরু করে শুরু হয়। অনেকেই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে আসেন। আহত হন বহু।
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ”দ্বীপটিতে প্রায় ১০০ জন পর্যটক ছিলেন বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। অনেকেই আহত হয়েছেন বলে আমরা খবর পেয়েছি। তাদের মূল ভূখণ্ডে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। আরও কেউ সেখানে আটকে আছেন কি না, তার খোঁজ চলছে।”
স্থানীয় এলাকার মেয়র জানিয়েছেন, আহতদের দ্রুত চিকিৎসা শুরু হয়েছে। তারা দ্বীপটিতেই গিয়েছিলেন, না কি আশেপাশে ছিলেন, তা জানার চেষ্টা হচ্ছে। তাদের কাছ থেকেই বোঝার চেষ্টা হচ্ছে, আরও পর্যটক সেখানে আটকে আছেন কি না।
প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ওই এলাকার ধারেকাছে যেন এখন কেউ না যান। কারণ, আগ্নেয়গিরি থেকে আরও অগ্নুৎপাতের সম্ভাবনা আছে বলেই তারা মনে করছেন।
এর আগে ১৯১৪ সালে ওই দ্বীপেই এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছিল। খনিতে কাজ করতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছিল ১২ জনের। ডয়চে ভেলে।