বিয়ে এবং ছেলে হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আনায় অপু বিশ্বাসের উপর চটে ছিলেন শাকিব খান। পরে অবশ্য সব মেনে নিয়ে ছিলেন শাকিব। তবে অপুর সাথে সংসারটা আর করা হয়নি। ডিভোর্স দিয়েছেন আদালতের মাধ্যমে। তারপর থেকে বিভিন্ন দিবসে ছেলের সাথে দেখা করতে জান শাকিব খান। সংসার না টিকলেও ছেলের প্রতি দায়িত্ব পালন করায় শাকিবের ইতিবাচক দিকটাই ফুটে উঠে ছিলো। কিন্তু অপু বললেন অন্য কথা।
বাংলাদেশী ছবির জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী বলেন, শাকিবের সাথে বিচ্ছেদের পর জয় (আব্রাহাম খান) আমার সাথেই থাকে। তার দেখাশোনা, পড়াশোনা সব দায়িত্বই পালন করছি আমি। ছেলের কোনো খরচ দিচ্ছেন না শাকিব।
তাহলে কিভাবে চলছে ছেলের খরচ? অপু বলেন, সব দায়িত্বই আমাকে পালন করতে হচ্ছে। সবরকম খরচও আমাকেই দিতে হচ্ছে। শাকিব আসলে ছেলের জন্য কোনো খরচ কখনোই দেয়নি। ওর কাছ থেকে একটা প্রয়োজনে আমি ১০ লাখ টাকা নিয়েছিলাম। তখন আমাদের সম্পর্ক ভালো ছিল। স্বামী-স্ত্রী আমরা।
পরে যখন জয় এলো তখন শাকিব ওই ১০ লাখ টাকা ছেলের খরচ হিসেবে দিয়েছে বলে দাবি করে সে। মানে সে বলে যে আমার আর তাকে ওই টাকাটা ফেরত দিতে হবে না। এটা সে ছেলের জন্য দিয়েছে। এই দেয়াটাকেই সবাই প্রচার করেছে যে ছেলে-বউয়ের খরচ দিচ্ছে শাকিব। আমিও কিছু বলিনি। কারণ টাকাটা ও আমার কাছে পায়। কিন্তু সত্যটা হলো, ছেলে জন্মের পর ওর জন্য এক টাকাও সে নগদ দেয়নি।’
অপু আরও বলেন, ‘জয় আসার পর থেকেই আমাকে অনেক সংগ্রামের মুখে পড়তে হয়েছে। সাংবাদিক ও আমার পরিবার আমাকে মানসিক সমর্থনটা দিয়েছে ঠিকই। কিন্তু আর্থিক সাপোর্টটা আমি কোথাও থেকে পাইনি। নিজেকে জোগাড় করতে হয়েছে নানারকম বিজ্ঞাপন, সিনেমা ও শো থেকে।
ছেলের জন্য আমি সব করতে পারি। ওকে তো মানুষ করতে হবে। স্বামীর অনিচ্ছায় আমি ছেলেকে পৃথিবীর মুখ দেখিয়েছি। ওর জন্য নিরাপদ জীবনের ব্যবস্থা আমাকেই করতে হবে। শাকিব মাসে-বছরে একদিন একটা গিফট দেয়, হঠাৎ একদিন দেখা করতে আসে আর সেগুলো দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায়। কিন্তু আমার দায়িত্ব প্রতিদিনের।’