রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেড ক্রসকে (আইসিআরসি) আরো সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
সম্প্রতি নিউইয়র্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনের সাথে আইসিআরসির সভাপতি পিটার মাউরার সাক্ষাতে এ আহ্বান জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গারা যেন মর্যাদার সাথে স্বদেশে ফিরে যেতে পারে, সেই লক্ষ্যে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সাথে রাখাইন রাজ্যে আইসিআরসিকে আরো সক্রিয়ভাবে কাজ করতে হবে।’
এ সময় নিজ দেশে নির্যাতানের শিকার পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ায় আইসিআরসি সভাপতি বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী এই মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রশংসা করেন তিনি।
কক্সবাজার জেলা এবং নোয়াখালীর ভাসানচরে মোট ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ।
এদিকে জাতিসঙ্ঘের সাধারণ অধিবেশনে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বিশ্ব সম্প্রদায়কে দ্রুত উদ্যোগী হওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২৪ সেপ্টেম্বর রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে তিনি বলেন, ‘আগেও বলেছি, আবারো বলছি রোহিঙ্গা সঙ্কটের সৃষ্টি মিয়ানমারে, সমাধানও রয়েছে মিয়ানমারে। রাখাইন রাজ্যে তাদের মাতৃভূমিতে নিরাপদ, টেকসই ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমেই কেবল এ সঙ্কটের স্থায়ী সমাধান হতে পারে। এ জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই গঠনমূলক উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি, আসিয়ানের নেতারা বাস্তুচ্যূত মিয়ানমার নাগরিক ইস্যুতে গৃহীত প্রচেষ্টাকে আরো বেগবান করবেন। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ীদের জবাবদিহি নিশ্চিতকরণে গৃহীত সকল কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা করতে হবে।