শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কলকাতায় বাংলাদেশি কনস্যুলেট ঘেরাওয়ের চেষ্টা, সংঘর্ষে আহত পুলিশ চলমান অস্থিরতার পেছনে ‘উদ্দেশ্যমূলক ইন্ধন’ দেখছে সেনাবাহিনী জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে যারাই যাবে, তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে : জামায়াত আমির বিচারপতিকে ডিম ছুড়ে মারার ঘটনায় প্রধান বিচারপতির উদ্বেগ ইসরাইলের বিরুদ্ধে জয় ঘোষণা হিজবুল্লাহর বাংলাদেশ ইস্যুতে মোদির সাথে কথা বলেছেন জয়শঙ্কর ইসকন ইস্যুতে কঠোর অবস্থানে সরকার : হাইকোর্টকে রাষ্ট্রপক্ষ আইনজীবী সাইফুল হত্যা : সরাসরি জড়িত ৮, শনাক্ত ১৩ র‍্যাবের সাবেক ২ কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ ছেলেসহ খালাস পেলেন বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ

সরকারি ১৮ প্রতিষ্ঠানের ব্যাংকদেনা সাড়ে ৩৩ হাজার কোটি টাকা

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২১
  • ১৫৪ বার

সরকারি ১৮টি প্রতিষ্ঠানের কাছে ব্যাংকের পাওনা এখন প্রায় সাড়ে ৩৩ হাজার কোটি টাকা। এসব প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন সময়ে ব্যাংক থেকে এই ঋণ নিয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠান আবার ঋণ নিয়ে তা সঠিক সময়ে পরিশোধও করেনি। ফলে খেলাপি ঋণের পরিমাণই গিয়ে ঠেকেছে ৬৯ কোটি টাকার ঘরে। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, চলতি বছরের গত ফেব্রুয়ারি শেষে এ ধরনের ১৮টি সরকারি সংস্থার কাছে ব্যাংকগুলোর বকেয়া পাওনার স্থিতি ছিল ৩৩ হাজার ৪৫১ কোটি ২৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে ৯টি প্রতিষ্ঠানের কিছু ঋণ আবার খেলাপি হয়ে পড়েছে। এর পরিমাণ ৬৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।

জানা গেছে, গত বছরের তুলনায় রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর পুঞ্জীভূত ব্যাংকঋণ ও খেলাপি ঋণ কমেছে। গত ২০২০ সালের জানুয়ারি শেষে ১৮টি প্রতিষ্ঠানের পুঞ্জীভূত ঋণের পরিমাণ ছিল ৩৯ হাজার ৩৪২ কোটি ৭৯ লাখ টাকা এবং ৯টি প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৮৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা। সে হিসাবে ১৩ মাসের ব্যবধানে প্রতিষ্ঠানগুলোর পুঞ্জীভূত ঋণ কমেছে পাঁচ হাজার ৮৯১ কোটি ৫১ লাখ টাকা এবং খেলাপি ঋণ কমেছে ১৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, এ বছর দেনার শীর্ষে রয়েছে ‘বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন’ (বিএসএফআইসি)। প্রতিষ্ঠানটির পুঞ্জীভূত ব্যাংকঋণ বাড়ছেই। গত ২০২০ সালের জানুয়ারি শেষে সংস্থাটির ব্যাংকঋণের পরিমাণ ছিল ছয় হাজার ৪৯১ কোটি ১৩ লাখ টাকা। চলতি বছর ফেব্রুয়ারি শেষে এটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ৯৮১ কোটি ৫৭ লাখ টাকা।

‘বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড’ (বিপিডিবি)-এর দেনার পরিমাণ কমেছে। গত বছর বিপিডিবির ব্যাংকঋণের পরিমাণ ছিল সাত হাজার ৬৯১ কোটি ৬২ লাখ টাকা। এক বছরে এটি কমে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ৫৯ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।

বর্তমানে লাভজনক প্রতিষ্ঠান হলেও দেনার দায়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ‘বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন’ (বিপিসি)। তবে গত এক বছরে সংস্থাটির পুঞ্জীভূত ব্যাংকঋণ কমেছে। ২০২০ সালের জানুয়ারি শেষে বিপিসির ব্যাংকঋণের পরিমাণ ছিল পাঁচ হাজার ৩৪৫ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি শেষে এটি কমে দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ৭৮৯ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।

আলোচ্য সময়ে ‘বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন’ (বিসিআইসি)-এর দেনার পরিমাণ তিন হাজার ৫১৫ কোটি ৭ লাখ টাকা (গত বছর ছিল ৪ হাজার ১০৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা)। বিএডিসির দেনার পরিমাণ ৩ হাজার ৪০২ কোটি ৪৭ লাখ টাকা (গত বছর ছিল ৩ হাজার ১৩৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা)। ‘বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশন’ (বিজেএমসি)-এর দেনার পরিমাণ ৯৭১ কোটি ২৩ লাখ টাকা (গত বছর ছিল ৯৩৫ কোটি ৭ লাখ টাকা)। ‘পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড’ (আরইবি)-এর ব্যাংকঋণের পরিমাণ ৯৭০ কোটি টাকা (গত বছর ছিল এক হাজার ১৪৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা)।

‘বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড’ (বিডব্লিউডিবি)-এর দেনার পরিমাণ ৫৬৭ কোটি ৩ লাখ টাকা (গত বছর ছিল ৬৯৩ কোটি ৭৭ লাখ টাকা)। ‘পেট্রোবাংলা’র ব্যাংকঋণ ৩৩৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা (গত বছর ছিল দুই হাজার ২০৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা)। ‘ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ’ (টিসিবি)-এর দেনার পরিমাণ ২৬৭ কোটি ২ লাখ টাকা (গত বছর ছিল ৫৩ কোটি ৫১ লাখ টাকা)। ‘বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল সংস্থা’ (বিএসইসি)-এর দেনার পরিমাণ ১১৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকা (গত বছর ছিল এক হাজার ৪১১ কোটি ৭ লাখ টাকা)।

এছাড়া ‘বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন’ (বিআরটিসি)-এর দেনার পরিমাণ ৯৫ কোটি ৯৩ লাখ টাকা (গত বছরেও একই ছিল)। ‘চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ’ (সিপিএ)-এর দেনার পরিমাণ ৯৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা (গত বছর ছিল ১১৯ কোটি ৫৫ লাখ টাকা)। ‘বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিল্স করপোরেশন’ (বিটিএমসি)-এর দেনার পরিমাণ ২৫ কোটি ২ লাখ টাকা (গত বছর ছিল ২০ কোটি ৬২ লাখ টাকা)। ‘বাংলাদেশ টি বোর্ড’ (বিটিবি)-এর দেনার পরিমাণ ১০ কোটি ৫২ লাখ টাকা (গত বছর ছিল ১০৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকা) এবং ‘বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন’ (বিএসসি)-এর দেনার পরিমাণ দুই কোটি এক লাখ টাকা।

এ বিষয়ে অর্থ বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গত ফেব্রুয়ারি মাসে পরিসংখ্যান আমাদের কাছে পাঠিয়েছে। তার ওপর ভিত্তি করেই এই প্রতিবেদন করা হয়েছে। তবে জুুন শেষে দেখা যাবে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের কাছে ব্যাংকের পাওনা আরো বেড়ে গেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com