সময়ের আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনি সব কিছুতেই ভিন্নতা পছন্দ করেন। এর প্রমাণও মেলে ব্যক্তি জীবনে নানা কাজে। বিশেষ করে জন্মদিন উদযাপন, পরীর ক্ষেত্রে থাকে ভিন্নতা। যেকোনো একটি ভাবনাকে নির্ধারণ করে সাজানো হয় পুরো আয়োজন। গত বছর জন্মদিন ময়ূরের আদলে পরী সাজিয়েছিলেন রাজধানীর পাঁচতারা একটি হোটেল।
এবার পরীর জন্মদিনের মূল মঞ্চটি সাজানো হয় বিমানের ককপিটের আদলে। শুভাকাঙ্ক্ষী, আত্মীয়-স্বজনদের যে কার্ড দিয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়, তাও ছিল বিমানের টিকিটের আদলে বানানো। আর এই নায়িকাও আসেন বিমান বালার বেশে। শুধু সাজসজ্জাই নয়, বিশেষ কায়দায় বানানো স্কার্টকে লুঙ্গিতে রূপান্তর করে নেচেছেনও।
এদিকে, জন্মদিনের মঞ্চের ওপরের লাল রঙের ইংরেজি বর্ণ দিয়ে লেখা হয়- ‘ফ্লাই উইথ পরীমনি’ অর্থাৎ ‘পরীমনির সঙ্গে ওড়ো’। সত্যি যেন আমন্ত্রিত অতিথিরা উড়েছেন পরীর জন্মদিনে। কেক কেটে নেচে-গেয়ে আনন্দ ভাগ করে নিয়েছেন তারা।
ঢাকার একটি পাঁচ তারকা হোটেলে গতকাল রোববার রাতে কাছের মানুষদের নিয়ে জন্মদিনের কেক কাটেন পরীমনি। এদিন ককপিটে প্রথমবার দর্শন দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উল্লাস ধ্বনিতে সবাই তাকে স্বাগত জানায়। পরীও পুরো আয়োজন ঘিরে গানের ছন্দে নিজেকে মেলে ধরেন। এরপর কাটা হয় কেক। মজা করতে গিয়ে কেকে থাকা ক্রিম মাখিয়ে দেন সাংবাদিক ও তার বন্ধুদের।
উপস্থিত গণমাধ্যম বন্ধুদেরও অফিশিয়াল মন্তব্য করতে চাননি এই চিত্রনায়িকা। তিনি বলেন, ‘এখানে আপনাদের দাওয়াত শুধু আমার জন্মদিনের পার্টির জন্য; নিউজের জন্য নয়। পরীমনির নিউজের আর দরকার নেই। আপনারা এসেছেন এতেই আমি আপ্লুত।’
আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন ‘গুণিন’ সিনেমার পুরো টিম অর্থাৎ পরিচালক গিয়াস উদ্দিন সেলিম, অভিনেতা সাইফুল ইসলাম রাজ, মুস্তাফা মনোয়ার। পরী শেষ চমকটা দেন তাদের সঙ্গেই। অভিনেতা সাইফুল ইসলাম রাজের সঙ্গে বিশেষ পরিবেশনা উপহার দেন পরী। সেই পরিবেশনায় অংশ নেন নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিমও। এরপর একাই নৃত্য পরিবেশন করেন এই চিত্রনায়িকা। তার একক পরিবেশনার মধ্য দিয়েই শেষ হয় পরীর লাল-সাদা’র জন্মদিন উদযাপন।