নাগরিক সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে উত্তপ্ত আসাম। ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যাহত। এই অবস্থায় সবচেয়ে বেশি মার খাচ্ছে অ্যাপ-নির্ভর ক্যাবচালকেরা। ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ হওয়ার ফলে ব্যবসা প্রায় বন্ধ হতে বসেছে অ্যাপ-ক্যাব চালকদের। ইন্টারনেট বন্ধ হওয়ার প্রতিবাদে প্রায় ১২ হাজার অ্যাপ-ক্যাপ চালক আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে সামিল হলেন প্রতিবাদে।
আসামের অ্যাপ-ক্যাব চালকদের কথায়, ‘ইন্টারনেটের মাধ্যমেই আমাদের কাজ চলে ৷ ইন্টারনেট ছাড়া আমাদের কাজ কি করে হবে? আর কাজ বন্ধ থাকলে, কিভাবে আমরা গাড়ির ইনস্টলমেন্ট শোধ করব? তাই এই পরিস্থিতিতে আমাদের আত্মহত্যা ছাড়া কোনও উপায় নেই’।
প্রসঙ্গত, গুয়াহাটি ও আসামের অন্যান্য জায়গা থেকে কারফিউ শিথিল হয়েছে। কিন্তু ইন্টারনেট ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হওয়ার পর, মানুষের জীবনযাত্রা প্রায় স্তব্ধ হওয়ার উপক্রম। অ্যাপ নির্ভর জীবিকাগুলি সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে অ্যাপ-ক্যাব চালক এবং বেশ কিছু ব্যবসায়ী, যাদের পুরো রুজিটাই মোবাইল ইন্টারনেটের ওপর দাঁড়িয়ে তাদের জীবন বিপর্যস্ত।
অন্যদিকে, আসামে এই অস্থিরতার জেরে এই মূহূর্তে প্রায় ১৬ হাজার পর্যটক আটকে রয়েছেন। এই অস্থিরতা চলতে থাকলে প্রচুর বুকিং বাতিলের সম্ভাবনাও রয়েছে। ট্যুর অপারেটরদের চিন্তা সামনেই বড়দিন এই অবস্থা চলতে থাকলে এবার পর্যটন ব্যবস্থা মার খাবে। সান্দাকফু এবং উত্তর ও পূর্ব সিকিমে তুষারপাত হয়েছে। বাস পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যেমন অনেকেরই রুটি রুজি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে পর্যটন শিল্পেও বড়সড় ধাক্কা নেমে আসবে। এই অবস্থায় উৎকণ্ঠায় পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
সূত্র : দৈনিক যুগশঙ্খ