সব জল্পনাকল্পনার অবসান ঘটিয়ে আবারও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেলেন ওবায়দুল কাদের। আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে এ ঘোষণা দেন দলের সভানেত্রী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক পদটিতে কে আসছেন, তা নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও বিভিন্ন মহলের আগ্রহ ছিল। এরইমধ্যে মাঠঘাটে ছুটে বেড়ানো নেতা ওবায়দুল কাদেরই যে এই পদে আবার বহাল হবেন—এ খবর সংবাদমাধ্যমে বের হয়।
এর আগে ২০১৬ সালে ২৪ অক্টোবর পদে রদবদল হলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান ওবায়দুল কাদের। আর সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে বিদায় নিয়ে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হন পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির রাজনীতিক প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
সে সময় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজে যথেষ্ট অগ্রগতি হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর ‘গুডবুকে’ স্থান পান। তিনি মাঠেঘাটে ছুটে বেড়ান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ওবায়দুল কাদের কলেজজীবন থেকেই রাজনীতিতে যুক্ত হন। উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান ও একাত্তরের স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশ নেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর তিনি কারাবরণ করেন। কারাগারে থাকতেই বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি। ওবায়দুল কাদের দৈনিক বাংলার বাণীর সহকারী সম্পাদক ছিলেন দীর্ঘ সময়।
১৯৯৬ সালে নোয়াখালী-৫ আসন থেকে ওবায়দুল কাদের সাংসদ নির্বাচিত হন। তখন যুব, ক্রীড়া ও সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী নিযুক্ত হন। ২০০৭ সালে এক-এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তিনি গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় দেড় বছর জেলে ছিলেন। ওই সময় গ্রেপ্তারের পর গোয়েন্দা সংস্থার কাছে তার দেওয়া কথিত জবানবন্দিকে কেন্দ্র করে তিনি দলে কিছুটা বিতর্কিত হন। এরপর ২০১১ সালের ৫ ডিসেম্বর যোগাযোগমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি দ্বিতীয়বারের মতো যোগাযোগমন্ত্রী হন তিনি।
পরে ২০১৮ সালের নির্বাচনে নোয়াখালী-৫ আসন থেকে ওবায়দুল কাদের আবারও সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী দায়িত্ব পান।