আজকের বাংলাদেশের অবস্থানের অনেক বড় অংশের দাবীদার প্রবাসীরা৷ রেসিটেন্স আমাদের অর্থনীতির গতিকে বেগবান করে,যা অশ্বিকার করার উপায় নেই। গতকাল ৩৫ তম ওয়াশিংটন ফোবানার উদ্বোধনী অনুষ্টানে প্রধান অতিথির বক্তব্য্ প্রধান অতিথির বক্তব্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালায়ের মন্ত্রী রেজাউল ইসলাম এ কথা বলেন৷
ম্যারিল্যান্ডের গে লর্ড পামের বিশাল বলরুমে সন্ধ্যা ৬ টায় উদ্বোধনী পর্বে মুক্তিযুদ্ব মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী আরো বলেন, প্রবাসীদের ঋন শোধ করার নয়। মুক্তিযোদ্বের সময় থেকে আজ অবধি তারা দেশকে দিয়েই যাচ্ছেন। আমাদের যা অর্জন তার পেছনে প্রবাসীর্রানছিলেন,আছেন এবং আগামিতেও থাকবেন। সকল মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে আপনাদের ধন্যবাদ জানাই।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য্ যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্র্রদুত শহিদুল ইসলাম বলেন, ৩৫ বছর আগের শুরু হওয়া ফোবানা আজ পুর্নতায় এই বিশাল কনভেনশন সেন্টারে প্রমান করে আমাদের প্রবাসীদের অবস্থান । বাংলাদেশের নানা অর্জনে প্রবাসীদের ভুমিকা লিখে বা বলে শেষ করার নয়। প্রতিটা প্রবাসীরা বাংলাদেশকে আমেরিকায় রিপ্রেজেন্ট করেন। আমি সকল প্রবাসীদের আজ শুভে্চ্ছা জানাতে এসেছি।
ফোবানার ৩৫ তম আসরের মুল পর্বের তিনদিন ব্যাপী অনুষ্টানের ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন মন্ত্রী রেজাউল ইসলাম, রাষ্ট্রদুত শহিদুল ইসলাম, ফোবানা সেন্ট্রাল নেতৃবৃন্দ ও হোষ্ট কমিটির প্রতিনিধিরা।
উদ্বোধনী অনুষ্টানে সংক্ষিপ্ত আকারে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, জর্জিয়ার সিনেটর শেখ রহমান। সিনেটর শেখ রহমান বলেন, আজকের ফোবানার এই ৩৫ তম সফল কনভেনশন প্রমান করে বাংলাদেশিরা অনেক দুর যেতে পারবেন। আপনারা মুল রাজনীতিতে প্রতিনিধিত্ব করেন।
আরো বক্তব্য্ রাখেন,জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন,ভয়েস খুব আমেরিকার সাবেক সাংবাদিক রাকেয়া হায়দার,ফোবানার এক্সিকিউটিভ মো মাহবুবুর রহিম ও মাসুদ রব চৌধুরী, ইভেন্ট পার্টনার অন্তর শো বিজের স্বপন চৌধুরী, গ্রান্ড স্পন্সর নাহিনুর রহমান, ফোবানার কনভেনর জি আই রাসেল, ফোবানার চেয়ারম্যান জাকারিয়া চৌধুরী, ইন্জিনিয়ার আবু হানিফ । উদ্ভোধনী অনুষ্টান পরিচালনা করেন শিব্বীর রহমান।
ব্রিজিং এন্ড ব্যান্ডিং বাংলাদেশ স্লোগানকে সামনে রেখে “অদম্য বাংলাদেশ এগিয়ে যাও ” মোট কে সামনে রেখে পুরো দুই বছর ৩৫ তম ফোবানার তিন দিনের কনভেনশনের প্রবাসীদের উপচে পড়া পদচারনায় বিশাল গে লর্ড পাম হয়ে দাড়ায় এক টুকরো বাংলাদেশ। অসাধারন বল রুমে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে ফোবানার তিন দিনের কনভেনশরের সুচনা পুরো বাংলা দেশটাকে তুলে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশের হোষ্ট সিফাত আরা তাবাসসুমের পরিচালনায় গান, গানে প্রথম দিনের পরিবেশনা ছিল অসাধারন । ফোবানা আইডল,ফোবানা ড্যান্স, মুক্তিযোদ্ধা সম্মামনা, মিডিয়া এওয়ার্ড,ফোবানা আইডন এওয়ার্ড, চেয়ারম্যান এওয়ার্ড ছাড়া বিশিষ্ট নৃত্য্ শিল্পী ওয়ার্দার একটি অসাধারন নাচের পরিবেশনা, যা পুরো ফোবানার মঞ্চকে মুগ্ধ করে। ছিল সাত জন বীর শ্রেষ্টকে নিয়ে বাঈ এর একটি অসাধারন গীতি নাট্য পরিবেশনা ছিল আকর্ষনীয়। নানা শহরের শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন রাত ১০ টা থেকে রাত দেড়টা পর্যন্ত। ফোবানা প্রবাসীদের বার্ষিক মিলন মেলা দীর্ঘ প্রায় তিন বছর সকল প্রবাসী একত্রিত হলেন।
ফোবানা প্রথম দিনে ৫ জন মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মামনা জানানো হয়। নানা সেগমেন্ট ভাগ করা ফোবানা উদ্বোধনী অনুষ্টান একটু বিলম্বে শুরু হলেও পরবর্তিতে ফোবানার মুল আসর জমে উঠে। চম্যকার মিউজিশিয়ানদের সাথে অতিথি শিল্পীদের গানে বাংলাদেশকে নানা ভাবে তুলে ধরা হয়েছিল।
প্রথম দিনের ফোবানার উদ্বোধনী অনুষ্টানে গে লর্ড পামের নানা হল রুমে নানা ষ্টেটের ভেন্ডরদের উপস্থিতি ফোবানাকে জমজমাট করে তুলে। নানা শহরের প্রবাসীরা সকাল থেকে গেছে লর্ড পামেলা এসেছেন। ফোবানার ৩৫ তম আসর কে সামনে রেখে চম্যকার ফোবানা ম্যাগাজিন প্রকাশিত হয়েছে।