দেখা করার জন্য প্রেমিককে ডেকে পাঠিয়েছিলেন প্রেমিকা। দেখা হতেই তাকে জড়িয়ে ধরে চুম্বন করেন। এরপরই বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় প্রেমিকের বুকের কাছে বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি চালিয়ে দেন প্রেমিকা। যদিও অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছেন ওই প্রেমিক।
গতকাল বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া শহরে। এর জেরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার জিনিউজ, আনন্দবাজার পত্রিকাসহ ভারতের একাধিক গণমাধ্যমের খবরে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কেশিয়া মাঠপাড়ার বাসিন্দা লালচাঁদ শেখের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল বাগানেপাড়ার মনীষা খাতুনের। প্রায় তিন বছর ধরে তাদের মধ্যে সম্পর্ক ছিল। কিন্তু সম্প্রতি তাদের সম্পর্কের অবনতি হয়েছিল বলে পুলিশকে জানিয়েছেন লালচাঁদ। মনীষাকে বিয়ে করতে চাইছিলেন না তিনি। কাটোয়া ছেড়ে ঝাড়খণ্ডে চলে গিয়েছিলেন মনীষা।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, দিন দুয়েক আগেই ঝাড়খণ্ড থেকে কাটোয়া ফেরেন মনীষা। বুধবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ কাটোয়ার সার্কাস ময়দানের একটি গলিতে লালচাঁদকে দেখা করার জন্য ডেকে পাঠিয়েছিলেন তিনি। তারপর ফিল্মি কায়দায় চুম্বন করে গুলি চালিয়ে দেন তিনি। গুলি লালচাঁদের জ্যাকেট ফুটো করে পেট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। অল্পের জন্য বেঁচে যান ওই যুবক।
মনীষার বাড়ির লোকজন জানিয়েছে, কর্মসূত্রে ঝাড়খণ্ড চলে যাওয়ার পরে বাড়ির লোকের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল না। পরবর্তী সময়ে সেখান থেকে ফিরে এসে সে এই ঘটনা ঘটায়।
এদিকে, এ ঘটনায় কাটোয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন লালচাঁদ। এরপরই ফোনের টাওয়ার লোকেশন দেখে অভিযান চালিয়ে প্রেমিকা মনীষাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কাটোয়া থানায় নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
প্রেমিকা মনীষা ওয়ান শাটারটি কোথা থেকে পেয়েছেন ইতোমধ্যে সেই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যদিও তাদের প্রাথমিক ধারণা, প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়েই লালচাঁদকে মারার পরিকল্পনা করেছিলেন মনীষা।