শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৮ অপরাহ্ন

পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচন

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৫ জানুয়ারী, ২০২২
  • ১৮২ বার

পঞ্চম ধাপে দেশের ৭০৮টি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) নির্বাচন হতে যাচ্ছে আজ। সোমবার রাতে নির্বাচনি প্রচার শেষ হয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি এলাকায় নির্বাচনি প্রচারকে কেন্দ্র করে সহিংস ঘটনাও ঘটেছে। তাই ভোটগ্রহণ সামনে রেখে নির্বাচনি এলাকাগুলোয় পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা মাঠে নেমেছেন। এসব ইউনিয়ন পরিষদে ৪৮ জন চেয়ারম্যানসহ ১৯৩ জন জনপ্রতিনিধি ইতোমধ্যে ভোট ছাড়াই নির্বাচিত হয়েছেন। বাকি পদগুলোতে নির্বাচন হবে।

এবার ইউপি নির্বাচনে দুটি প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে-একটি হলো সহিংসতা, অন্যটি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়া। ইউপি নির্বাচনের শুরু থেকে এ পর্যন্ত সহিংসতায় ১০০ জনের মতো ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। অভিজ্ঞতা থেকে বলা যায়, আজকের নির্বাচনগুলোতেও সহিংসতার আশঙ্কা রয়েছে। গণতন্ত্রের মূল কথা হলো-নির্বাচকমণ্ডলী তাদের বিবেচনায় যোগ্য প্রার্থীকে নির্বিঘ্নে ভোট দেবেন এবং এর ফলাফল নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সবাই মেনে নেবেন। পরিতাপের বিষয়, নির্বাচনে যে কোনো উপায়ে নির্বাচিত হওয়ার প্রবণতা প্রকট হয়ে উঠেছে। আর এ প্রবণতার ফলে প্রাণ যাচ্ছে মানুষের। আমরা আশা করব, আজকের নির্বাচন হবে সহিংসতামুক্ত। নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায়ও জড়াবে না কেউ। এ ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তাদের সতর্ক থাকতে হবে, যাতে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে সহিংসতার সূত্রপাত না হয়।

ইউপি নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হওয়া গণতন্ত্রের জন্য শুভ লক্ষণ নয়। গণতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন। প্রার্থীরা নির্ভীকচিত্তে প্রভাবশূন্য অবস্থায় নির্বাচকমণ্ডলীর কাছে ভোট প্রার্থনা করবেন। বস্তুত এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার অর্থ হলো, জনমত তথা জনগণের ইচ্ছার পূর্ণাঙ্গ প্রতিফলন না ঘটা। আর সেক্ষেত্রে নির্বাচিত হওয়া জনপ্রতিনিধি তার নির্বাচনি এলাকার সমগ্র জনগণকে প্রতিনিধিত্ব করতে ব্যর্থ হন। চলমান ইউপি নির্বাচনে তেমনটিই ঘটে চলেছে। অর্থ ও পেশিশক্তি নষ্ট করছে গণতন্ত্রের সৌন্দর্য ও মর্মবস্তুকে। আমরা গণতন্ত্রের সুষ্ঠু চর্চা দেখতে চাই আর সেজন্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার যে উদাহরণ তৈরি হয়েছে, তা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এ জন্য নির্বাচন কমিশন থেকে শুরু করে রাজনৈতিক দল ও অন্যান্য অংশীজনকে পালন করতে হবে নিজ নিজ দায়িত্ব। আজকের নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ও উৎসবমুখর হবে, এটাই প্রত্যাশা।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com