প্রণোদনা বাড়ানোর পর রেমিট্যান্স কিছুটা বেড়েছে। সদ্য বিদায়ী জানুয়ারি মাসে ১৭০ কোটি ৪৪ লাখ ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে এসেছে। ওই মাসের ১ তারিখ থেকে রেমিট্যান্সে ২ দশমিক ৫০ শতাংশ প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। এর আগে রেমিট্যান্সে প্রণোদনা ছিল ২ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ডিসেম্বরের তুলনায় জানুয়ারি মাসে রেমিট্যান্স বেড়েছে ৪ দশমিক ৫২ শতাংশ। ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৬৩ কোটি ৬ লাখ ডলার।
তবে, এর আগের বছরের জানুয়ারি মাসের তুলনায় চলতি বছরের জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স কমেছে ১৩ দশমিক ১২ শতাংশ। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৬ কোটি ১৯ লাখ ডলার। সব মিলিয়ে চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) রেমিট্যান্স আসে ১ হাজার ১৯৪ কোটি ৩৯ লাখ ডলার, যা ২০২০-২১ অর্থবছরের একই সময়ে আসা রেমিট্যান্সের তুলনায় ১৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ কম।
২০২০-২১ অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত রেমিট্যান্স এসেছিল ১ হাজার ৪৯০ কোটি ৬৬ লাখ ডলার।
অবশ্য চলতি বছরের শুরু থেকেই রেমিট্যান্স কমতে থাকে। এর কারণ হিসেবে ব্যাংক কর্মকর্তারা বলে আসছিলেন, করোনার প্রকোপ কমে আসায় বিদেশে আবারো হুন্ডি শুরু হয়। এ কারণে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স কমতে থাকে। তবে সরকারও রেমিট্যান্স বাড়াতে এ খাতের প্রণোদনা বাড়িয়ে দেয়।
চলতি ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে রেমিট্যান্সের ওপর শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ রেমিট্যান্স বাড়ায় সরকার।
উল্লেখ্য, রেমিট্যান্স বাড়াতে ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে রেমিট্যান্সের ওপর ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দিয়ে আসছে সরকার। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ খাতের প্রণোদনা বাড়িয়ে ২ দশমিক ৫০ শতাংশ করা হয়।
ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, চলতি অর্থবছরে মোট ২ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স আশা করছে সরকার। তবে এই প্রত্যাশা পূরণ হওয়া নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা রয়েছে। কেন না এ লক্ষ্য পূরণ হতে হলে বাকি ৫ মাসে আরো প্রায় ১ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স আসতে হবে। গত ২০২০-২১ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ ডলার। এর আগে ২০১৯-২০ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১ হাজার ৮২০ কোটি ৫০ লাখ ডলার।